নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই জলের তোড়ে ফের ভাঙ্গল কাফরেন বাঁধ, গলসীতে বিপাকে চাষীরা

জয় লাহা, দুর্গাপুর, ১৭ সেপ্টম্বর: নির্মান শেষ হওয়ার আগেই জলের তোড়ে ভাঙ্গল অস্থায়ী বাঁধ। আর তার জেরে আবারও সেচের জল সঙ্কটে গলসীর প্রায় হাজার একর জমি। নিম্নমানের কাজের অভিযোগ চাষীদের। আর তাতেই মাথায় হাত পড়েছে গলসী-১ নং ব্লকের খাঁ পাড়া, খামারগ্রাম, কোঁদাইপুরের চাষীরা। নতুন করে পাকা বাঁধ তৈরীর দাবী জানিয়েছে চাষীরা।

 কাফরেন বাঁধ। গলসী-১ নং ব্লকের খাঁ পাড়া কোঁদাইপুর মৌজায়। এই বাঁধের সেচের জলে নির্ভরশীল প্রায় ১ হাজার একর চাষ জমি। বছরে দু’বার ধান চাষ হয় ওই দুই মৌজার জমিতে। মানকর পিভিসি সেচ ক্যানেল থেকে শাখা বেরিয়ে সোজা চলে গিয়েছে খাঁ পাড়া, কোঁদাইপুর এলাকায়। সেখানেই রয়েছে কাফরেন বাঁধ। প্রায় প্রতিবছরই শাল বল্লি ও বালি-মাটির বস্তা দিয়ে বাঁধানো হয় বাঁধটি। চলতি বছর গত ৯ সেপ্টম্বর মাটির বস্তা, বাঁশের বল্লি দিয়ে বাঁধানো হয়। যদিও কাজ শেষ হয়নি বলে দাবি সেচ দফতরের। কিন্তু, গত দুদিনের ভারি বৃষ্টিতে আবারও জলের তোড়ে সেই বাঁধ ভেঙ্গে যায়।

চাষীদের অভিযোগ, “জলের চাপ খুব। তার ওপর নিম্নমানের কাজ হয়েছে। তার ফলে অস্থায়ীভাবে মাটির বস্তা দিয়ে বাঁধানোয় বাঁধ টেকসই হয়নি। বৃষ্টি জলের তোড়ে ওই বাঁধ ভেঙ্গে চলে যায়। ফলে আবারও জল সঙ্কটে আশঙ্কায় রয়েছি। তাই গুরুত্বপূর্ন ওই বাঁধটি পাকাপাকি বাঁধানোর দাবী জানাচ্ছি।”

চাষীরা জানান, “ধারদেনা করে চাষ করেছি। ৮-৯ হাজার টাকা বিঘাতে খরচ হয়েছে। এভাবে জল সঙ্কটের ফলে ফলন ভালো হবে না। ফলে চরম দুঃশ্চিন্তায় রয়েছি।” জানা গেছে, দীর্ঘদিনের পুরোনো বাঁধ। প্রতিবছর কেন অস্থায়ীভাবে ওই বাঁধ বাঁধানো হয়। রাজ্য ও কেন্দ্র উভয় সরকার যখন কৃষির ওপর জোর দিয়েছে। জল সংরক্ষণে তৎপর। তখন কেন ওইরকম একটি গুরুত্বপূর্ন বাঁধা পাকা হয়নি? 

পুর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য পরেশ পাল জানান, “বিষয়টি শুনেছি। ওই বাঁধটি কংক্রিটের বাঁধানোর চিন্তাভাবনা নেওয়া হচ্ছে।”  রনডিহা সেচ দফতরের আধিকারিক অর্নব রায় জানান, “নির্মান কাজ এখনও শেষ হয়নি। পুনরায় বাঁধটি মেরামত করা হবে।” 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *