আমাদের ভারত, সাগরদিঘি, ১৭ ফেব্রুয়ারি: তৃণমূলের তরফে বার বার একশো দিনের কাজে প্রথম হওয়াকে রাজ্য সরকারের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরা হয়। কিন্তু এই বিষয়টিকে রাজ্যসরকারের সাফল্য হিসেবে দাবি এটা আসলে রাজ্যের লজ্জা হিসেবে ধরা উচিত বলে মনে করেন বিজেপি রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কেন এটা লজ্জা, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। দক্ষিণ ২৪ পরগণার সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহার সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এবিষয়ে মন্তব্য করেছেন দলের রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার।
সাগরদিঘির এই নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিজেপি। আজ ভোট প্রচারে গিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই ভোটে তৃণমূলকে বার্তা দিতে হবে, ভোটে জিতে ক্ষমতায় এসেছে বলেই তারা যা খুশি তাই করার লাইসেন্স পায় না। তিনি বলেন, আমার ছেলের ভবিষ্যত তুমি অন্ধকার করতে পারো না। তুমি ন্যায্য প্রার্থীর চাকরি বিক্রি করে দিতে পারো না, তুমি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর তিনতলা বাড়ির মালিককে বিক্রি করে দিতে পারো না।
তিনি সংখ্যালঘুদের বার্তা দেন, তৃণমূল কংগ্রেস ও দলের নেত্রী, তাদের শুধুমাত্র ব্যবহার করেন নিজের প্রয়োজনে। তাদের সঙ্গে কাজের সময় কাজি কাজ ফুরোলে পাজির মত ব্যবহার করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাইতো আজ পীরজাদার বংশধরকে মাটিতে পড়ে সরকারের অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে।
সুকান্ত দাবি করেন, সিএএ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার দল সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝাচ্ছে ও নিজেদের ফায়দা তুলতে তাদের ব্যবহার করছে। ভবিষ্যতে কাজ শেষ হলে তাদের ছুড়ে ফেলে দেবেন। তাই সংখ্যালঘুদের তিনি বিজেপিকে সমর্থন করার আহ্বান জানান, কারণ মোদী সরকার সবকা সাথ সবকা বিশ্বাসে বিশ্বাসী। সবার জন্য কাজ করে মোদী সরকার। তিনি দাবি করেন, আজ মোদী সরকারের জন্য কোভিড থেকে মুক্তি পেয়েছে দেশের মানুষ। কারণ মোদীর দেওয়া তিন ডোজের ভ্যাকসিন আজ সবার শরীরে রয়েছে।
এরপরই তিনি একশো দিনের কাজ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন ১০০ দিনের কাজে রাজ্য প্রথম হয়েছে, এটা কোনো গর্বের বিষয় নয়– বরং এটা লজ্জার। কারণ এখানে কোনো কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় মানুষ মাত্র ২০০ টাকা দৈনিকে ১০০ দিনের কাজ করতে চাইছে। অথচ অন্য রাজ্যে কাজের সুযোগ অনেক বেশি। সেখানে মানুষ দৈনিক কমপক্ষে ৫০০টাকা মজুরিতে কাজ পায়, তাই সেখানে ১০০ দিনের কাজের চাহিদা কম। তিনি বলেন, এমনিতেই প্রায় ৪৫ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক কাজের খোঁজে রাজ্যের বাইরে চলে গেছে। এইভাবে কাজের কোনও সুযোগ তৈরি না হলে পরিস্থিতি এমন হবে যে রাজ্য বাস করা বৃদ্ধ বৃদ্ধার মৃত্যুর সময় মুখে গঙ্গা জল দেওয়ার কেউ থাকবে না। কারণ রুটিরুজির জন্য রাজ্য ছাড়তে বাধ্য হবে আগামী প্রজন্ম। তাই তৃণমূল সরকারকে যদি না সরানো যায় তাহলে রাজ্যের অবস্থা আরো করুন হবে।