অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, ১৯ মে: অক্ষর শুদ্ধ বানান ও ভাষাচর্চা গ্রুপে ‘বানানের টিপস্’-এ স্বপন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “কোনও কোনও শব্দের শেষে ও-কার দেওয়ার প্রস্তাব করেছে বাংলা আকাদেমি। সেগুলো হল: বড়ো, খাটো, ছোটো, কালো, ভালো, মতো। এছাড়াও এগারো, বারো, তেরো, চোদ্দো, পনেরো, ষোলো, সতেরো, আঠারো এই শব্দগুলোর শেষেও ও-কার দেওয়া বাঞ্ছনীয়।
কিন্তু, এত, তত, যত, কত ইত্যাদি শব্দে ও-কার আমরা দেব না। এটা ‘কোন’ [কোন্] জায়গা? এই বাক্যে ‘কোন’ শব্দটা প্রশ্নবাচক সর্বনাম। আবার ‘তোমার যাবার ‘কোনও’ (কোনো) দরকার আছে কি? এখানে ‘কোনও’ শব্দটা অনিশ্চয়সূচক সর্বনাম। এই শব্দের শেষে আমরা ও ব্যবহার করব। তবে এক্ষেত্রে ও বর্ণ না লিখে ও-কার দেওয়া যেতে পারে। অর্থাৎ ‘কোনও বা ‘কোনো’ দুটোই লেখা চলে। আর তাই ‘আরো’/আরও, ‘কারো’/ ‘কারও’, ‘কখনো’/ ‘কখনও’, ‘আরোই’/’আরওই’ এভাবেও লেখা চলবে।
আর একটা কথা ইংরেজি Too বোঝাতে হলে কিন্তু ও-কার দিলে চলবে না। অর্থাৎ ‘আজো’, ‘আমারো’ ‘রামেরো’ এগুলো না লিখে ‘আজও’, ‘আমারও, ‘রামেরও’ এভাবেই লিখতে হবে।
অতএব অনিশ্চয়সূচক সর্বনাম এবং ইংরেজি ‘too’ উভয় ক্ষেত্রেই ও-কারের বদলে ‘ও’ ব্যবহার করলে কোনও ভুলের সম্ভাবনা থাকে না। তবে মনে রাখতে হবে যে ও যখন সাধারণ সর্বনাম অথবা এবং-এর পরিবর্তে ব্যবহার করা হচ্ছে তখন কিন্তু তা আলাদা করেই লিখতে হবে। যেমন, ‘আমি আর ও কাল সেখানে যাব’, ‘রাম ও রহিম কাল সেখানে যাবে’।
‘লো’ প্রত্যয়যুক্তশব্দের ‘লো’ ও-কার দিয়েই লিখতে হবে। যেমন: জোরালো, ঘোরালো, টিকোলো, প্যাঁচালো ইত্যাদি।
‘তো’, ‘হয়তো’, ‘নয়তো’ এগুলোও ও-কার দিয়েই লিখতে হবে।
***