লকডাউনে ছাত্র ছাত্রদের সাহায্যে এগিয়ে এল ভৈরব গাঙ্গুলি কলেজ কর্তৃপক্ষ

প্রতীতি ঘোষ, ব্যারাকপুর, ১৬ জুন:
লক ডাউনে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের পাশে এসে দাঁড়ালেন কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকারা। অনলাইন ক্লাস করার জন্য ছাত্র ছাত্রীদের ফোন রিচার্জ পর্যন্ত করে দিচ্ছেন শিক্ষকরা।

গত বছর থেকে করোনাভাইরাস শুরু হওয়া থেকেই যে লকডাউন শুরু হয় দীর্ঘ দিন সেই লকডাউন চলে, তারপরে দ্বিতীয় ঢেউ আসে এবছর আবার লকডাউন শুরু হয়। সেই লকডাউনের জন্য অনেক মানুষ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছেন। স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। এই সময় অভিনব উদ্যোগ শুরু করে রাজ্যের বুকে প্রথম দৃষ্টান্ত স্থাপন করল বেলঘড়িয়া ভৈরব গাঙ্গুলি কলেজ।

শিক্ষক সমাজ যে নতুন পথ দেখায় তার নিদর্শন নতুন করে আবার রাখলেন বেলঘড়িয়া ভৈরব গাঙ্গুলি কলেজের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মচারীরা। কলেজে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে অনেকের অভিভাবকের কাজ চলে গেছে লক ডাউনে। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সেই সব ছাত্র ছাত্রীদের। কলেজের সেই সমস্ত আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ালো ভৈরব গাঙ্গুলি কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকা ও অশিক্ষক-কর্মচারীরা। এখন ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন পাঠন চলছে অনলাইনে। অনেকেরই পক্ষেই সম্ভব হচ্ছিল না ফোন রিচার্জ করে অনলাইন ক্লাস চালিয়ে যাওয়া।

আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া সেই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীর মোবাইল রিচার্জ থেকে শুরু করে পড়াশোনা সংক্রান্ত যাবতীয় সহযোগিতা করছে ভৈরব গাঙ্গুলি কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজের অর্থনৈতিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের সাহায্যের জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি বিশেষ ফান্ড। সেই ফান্ডে কলেজের প্রফেসর শিক্ষাকর্মী সহ প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রীরা হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর সেই টাকা থেকে কলেজে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সাহায্য করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত ১৫০ জনের বেশি ছাত্র-ছাত্রীকে এই ফান্ড থেকে সাহায্য করা হচ্ছে।

ভৈরব গাঙ্গুলি কলেজের প্রিন্সিপাল ডক্টর শুভ্রনীল সোম জানান, পৃথিবী ভালো নেই, এই অবস্থায় আমাদের ছাত্র ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর একটা তাগিদ অনুভব করি। কারন নিজের ঘর ভালো থাকলে অন্যদের ভালো রাখা যায়। তাই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। যাতে অর্থাভাবে থাকা ছাত্র ছাত্রীদের একটু সহযোগিতা করতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *