নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মঙ্গলবার ভারত বনধের ডাক কৃষকদের

আমাদের ভারত, ৫ ডিসেম্বর:কৃষি আইন সংশোধনের কথা বলেছে কেন্দ্র। কিন্তু নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় আন্দোলনরত কৃষকরা। তাই এবার কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিলো আন্দোলনরত কৃষকরা। কেন্দ্রের আনার নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে তারা বিরত হবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

কৃষক নেতাদের দাবি বিশেষ সংসদ অধিবেশন ডেকে কেন্দ্রের নয়াকৃষি আইন গুলি সরকারকে প্রত্যাহার করতে হবে, তবেই চলতে থাকা ক কৃষক আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে। শনিবার ১০ দিনে পড়েছে এই কৃষি আন্দোলন। দিন যত গড়িয়েছে ততই বেড়েছে কৃষক আন্দোলনের তাপ। পাঞ্জাব হরিয়ানা ছাড়াও দিল্লি সীমান্তে এসে জড়ো হয়েছে দেশের অন্য রাজ্যের কৃষকরাও। জানা যাচ্ছে গাজিয়াবাদ দিল্লি ২৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, উত্তরাখণ্ড দিল্লির ৯ নম্বর জাতীয় সড়ক,দিল্লি হরিয়ানা সিঙ্ভ সীমানায় প্রায় ১২ লক্ষ কৃষক জমায়েত হয়েছে।

দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে কৃষক নেতাদের ও কেন্দ্র সরকারের। কিন্তু তারপরেও কোন রফা সূত্র পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় রয়েছেন কৃষকরা। যদিও কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র তোমরের দাবি সমস্যা না মেটা পর্যন্ত তারা আলোচনা চালিয়ে যাবেন।

এরপরই কৃষকরা দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দেয়। কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্বে দাবি তারা দীর্ঘদিনের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েই দিল্লিতে এসেছেন। ফলে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের তরফের ঘোষণা করা হয়েছে বনধ চলাকালীন সমস্ত জাতীয় সড়ক এবং টোলপ্লাজা গুলি অবরোধ করা হবে। ভারত কিষান ইউনিয়ন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হরিন্দের সিং বলেছেন, কৃষি আইন সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করতে হবে বলে কেন্দ্রকে জানিয়ে দিয়েছিলাম আমরা। আমরা ৮ডিসেম্বর ভারত বনধের ডাক দিয়েছি। বামপন্থীরা সহ আরো অনেকেই আমাদেরই আন্দোলনে যোগ দেবে।

গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে কেন্দ্রের এই নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন পাঞ্জাব হরিয়ানা কৃষকরা। সপ্তাহ খানেক আগে এই আন্দোলনকে রাজধানীর বুকে টেনে এনে জাতীয় রাজনীতিকে সরগরম করেছেন তারা। অল ইন্ডিয়া কিষান সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লার কথায় “এই আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে আমাদের। সরকারকে কৃষি আইন প্রত্যাহার করতেই হবে”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *