আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ১০ মে: পঁচিশে বৈশাখে রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে পুলিশকে দিয়ে নিজের গান গাওয়ানোয় মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ। রবিবার তিনি এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, পঁচিশে বৈশাখ রবীন্দ্র জয়ন্তীতে সারা বাঙালি জাতি তথা দেশ যখন চিরাচরিত প্রথায় কবিগুরুর গান গেয়ে থাকে সেই সময় রাজ্য পুলিশকে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন রবীন্দ্র সংগীতের পাশাপাশি তার নিজের লেখা গান গাইতে হবে। ভারতী ঘোষ এখানেই প্রশ্ন তোলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী যদি না হতেন তাহলে কি তিনি এই নির্দেশ দিতে পারতেন? আজ তিনি মুখ্যমন্ত্রী বলেই পুলিশকে নির্দেশ দিয়ে নিজের গান গাইয়ে নিতে পারছেন।
ভারতী ঘোষ বলেন, তার গান গাওয়ানোর ইচ্ছেটা তিনি জনগণের উপর ছেড়ে দিয়ে বলতে পারতেন যে, আমি একটি গান লিখেছি আপনারা সেই গান গাইতে পারেন। কিন্তু তা না করে বাংলার একটি ঐতিহ্যশালী সংস্কৃতির দিনে তিনি তার ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে প্রচার করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি হয়ে পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে জনগণকে সেই গান শুনিয়েই ছাড়লেন এবং ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার করলেন।
এছাড়াও ভারতী ঘোষ এদিন রাজ্যে উত্তরোত্তর বেড়ে চলা করোনা সংক্রমণ নিয়েও রাজ্য প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। তিনি বলেন, এ রাজ্যে হু হু করে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ভারতের মৃত্যুর হারে এ রাজ্য এগিয়ে রয়েছে। আট মে সন্ধ্যে পর্যন্ত সারাদেশে ১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ১০৭ জন এ রাজ্যের। সরকারি হিসাব অনুযায়ী এদের মধ্যে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে সরাসরি সংক্রমণে এবং ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে অন্যান্য কারণে। রাজ্যের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে একের পর এক হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ভারতী ঘোষ।
এদিকে ডক্টরস ফোরাম জানিয়েছে, রাজ্যে একের পর এক চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে আর কিছুদিনের মধ্যে মানুষের চিকিৎসার কোনো সুযোগ থাকবে না।