আমাদের ভারত, হাওড়া, ১৯ নভেম্বর: ভারতীয় জনতা পার্টি হিংসায় বিশ্বাস করে না। সব সময় হিংসার বিরোধিতা করে। জগদ্দলে যে তৃণমূল কর্মী খুনের অভিযোগ উঠেছে সরকারের উচিত বাস্তবে যে খুন করেছে তাকে যেন গ্রেফতার করা হয়। এক্ষেত্রে যেন বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো না হয়। বৃহস্পতিবার উলুবেড়িয়ার গঙ্গারামপুরে হাওড়া গ্রামীণ জেলার তপশিলি মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি মোহন রানার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করতে এসে এই কথা বলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
উলুবেড়িয়া বীরশিবপুরের একটি রিসোর্টে বিজেপি কার্যকর্তাদের নিয়ে চলা দুদিনের বৈঠকের মাঝে বৃহস্পতিবার দুপুরে কৈলাস বিজয়বর্গীয় পৌঁছে যান জেলার তপশিলি মোর্চার প্রাক্তন সভাপতির বাড়িতে। সঙ্গে ছিলেন সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি এবং সাংদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। এদিন কৈলাস বিজয়বর্গীয়র জন্য খাবারের মেনুতে ছিল রুটি, সবজি, ডাল, আলুপোস্ত, পালং পনির, আলুর দম, বেগুন ভাজা, আমড়ার টক, দই, মিষ্টি। খাওয়া-দাওয়ার পর কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন ভাল রান্না হয়েছে, পেট ভরে গেছে। খাওয়া-দাওয়া শেষে বাড়ির মহিলাদের আবদার মেনে তাদের সাথে ফটো তোলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
প্রসঙ্গত বুধবার থেকে উলুবেড়িয়ায় শুরু হয়েছে মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি জেলার বিজেপি কার্যকর্তাদের নিয়ে ম্যারাথন বৈঠক। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া, সদর কাঁথি, তমলুক সাংগঠনিক জেলার কার্যকতাদের নিয়ে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার হুগলি, শ্রীরামপুর, আরামবাগ ঘাটাল ও হাওড়া গ্রামীণ সাংগঠনিক জেলার কার্যকর তাদের নিয়ে বৈঠক করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দুদিনের এই বৈঠকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ছাড়া উপস্থিত আছেন মেদিনীপুর হাওড়া হুগলির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ পর্যবেক্ষক সুনিল দেওধর।