আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ২৭ জানুয়ারি: ফের বন্ধ হয়ে গেলো ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে আরো একটি জুট মিল। আর সেই জুট মিল খোলার দাবিতে রেল অবরোধ করলেন মিল শ্রমিকরা। অবরোধ তোলা নিয়ে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটলো শিয়ালদহ মেন লাইনের কাঁকিনারা স্টেশনে।
পাটের অভাব দেখিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ দিয়ে মিল বন্ধ করে দেয় ভাটপাড়া রিলায়েন্স জুটমিল কর্তৃপক্ষ। আন্যান দিনের মত এদিন সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে আসেন। এদিন তারা কাজে এসে দেখেন মিলের গেটে সাসপেন্স অফ আয়ার্কের নোটিশ দিয়ে মিলের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই মিল বন্ধের ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ে প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক।
তারা মিল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা রাজি হয় না হলে অভিযোগ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে শ্রমিকরা।
সেই সময় অবিলম্বে এই মিল খোলার দাবিতে কাঁকিনাড়া রেলস্টেশনে গিয়ে রেল অবরোধ শুরু করেন রিলায়েন্স জুটমিল শ্রমিকরা। এই ঘটনায় ব্যাপক গণ্ডগোল শুরু হয় স্টেশন চত্বরে। সপ্তাহের কাজের দিনে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় নিত্যযাত্রীদের। এই অবরোধের ফলে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে শিয়ালদা মেন শাখার ট্রেন চলাচল। এরপর
বিশাল পুলিশ বাহিনী নামানো হয়। আসে রেল পুলিশও। পুলিশ এসে প্রথমে অবরোধকারীদের অবরোধ তুলে দেওয়ার কথা বোঝায়। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয় না। এরপর অবরোধকরীদের ওপর মৃদু লাঠি চার্জ করে ও লাঠি নিয়ে ধাওয়া করে অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ। শ্রমিকদের দাবি, কোনও নেতা বা মন্ত্রী মিল খোলার উদ্যোগ নিক, এগিয়ে আসুক তারা। তারা শ্রমিকদের এই দুর্দিনে পাশে নেই কেউ, এই অভিযোগ এনে মিল খিলার দাবিতে রেল অবরোধ করে। শ্রমিকরা বলেন, প্রতি বছরই এই মিল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। বছরে কোনও না কোনও অজুহাতে মিলটি বন্ধ করে রাখে তারা। এতে আমাদের সংসার চালাতে খুব সমস্যা হয়। আমরা এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই। আজও কাঁচামাল না থাকার অজুহাত দেখিয়ে মিল বন্ধ করে দিল। যখন ভোট আসে রাজনৈতিক দলের নেতারা আসেন ভোট নিতে কিন্তু এখন কেনো আসছেন না আমাদের এই দুর্দিনে। মিলটা খোলার ব্যবস্থা করুন। নাহলে এই মিলের এতো শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। আর এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ বেড়ে যাবে।”
তবে এই ঘটনায় সমস্যায় পড়া নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য, “একে লক ডাউন ট্রেন কম তার মধ্যে এই ধরনের অবরোধ হলে আমাদের মত সাধারণ মানুষের কি হবে ।” পুলিশের লাঠি র তারা খেয়ে অবশেষে ঘণ্টা খানেক পর অবরোধ উঠে যায়।