আমাদের ভারত, ২৮ মে: সংবিধানের ৮১ ধারা অনুযায়ী, লোকসভার মোট সদস্য সংখ্যা সর্বাধিক ৫৪৫ হতে পারে। কিন্তু এবার লোকসভার আসন সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে বলে বড় ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনের দিন লোকসভা কক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী বলেন, নতুন সংসদের প্রয়োজন ছিল। আগামী সময় সাংসদদের সংখ্যা বাড়বে। সেটাও দেখতে হবে আমাদের। সেজন্য এখনই নতুন সংসদ তৈরি করতে হতো।
উল্লেখ্য, সংবিধান অনুযায়ী ২০২৬ সাল পর্যন্ত সংসদের আসন সংখ্যা কোনো ভাবে পরিবর্তন করা যাবে না। তবে আগামী লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হলে ২০২৬ সালের পর নতুন করে লোকসভার আসন বিন্যাস করতে পারে বিজেপি, বলে ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৫২ সালের প্রথম লোকসভা নির্বাচনের সময় লোকসভার আসন ছিল ৪৮৯। পরে তা বেড়ে হয়েছিল ৫০২। ১৯৭১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, লোকসভার আসন সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ৫৪৫। পরে ১৯৭৬ সালে স্থির করা হয়, ২০০১ সাল পর্যন্ত লোকসভার আসন সংখ্যা নির্ধারণের ভিত্তি বছর ১৯৭১ সালকেই ধরা হবে। সংবিধানের সেই ধারায় মেয়াদ ফের ২৫ বছর বৃদ্ধি করা হয়েছিল বাজপায়ীর সময়কালে।
২০২৬ সালের পর বিজেপির লিমিটেশনের পথে হাঁটতে পারে বলে মনে করা হয়েছিল। সেই ধারণাকে সত্যি প্রমাণিত করলেন মোদী।
উল্লেখ্য, সংবিধান অনুযায়ী ভারতের প্রতি ৬-১০ লাখ পর্যন্ত ভোটারের জন্য অন্তত একজন করে সাংসদ থাকতে হবে। তবে বর্তমানে প্রতি সাংসদ পিছু ভোটারের সংখ্যা গড়ে প্রায় ১৮ লাখ। নয়া সংসদ ভবনের লোকসভা কক্ষে ৮৮০টি আসন রয়েছে। তবে পুরো বিষয়টাই এখন জল্পনা স্তরে। এদিকে সাংসদ সংখ্যা বাড়ানো নিয়ে দক্ষিণী রাজ্যগুলির আপত্তি রয়েছে। তাদের অভিযোগ, বর্তমানে জনসংখ্যার ভিত্তিতে যদি আসন বন্টন করা হয়, সে ক্ষেত্রে দক্ষিণী রাজ্যগুলির গুরুত্ব কমবে, কারণ জনসংখ্যার নিরিখে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে আসন সংখ্যা বাড়বে অনেক বেশি।
এদিকে উত্তর ভারতের হিন্দি বলয়, বিজেপি শক্তি বেশি। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে লোকসভার আসন সংখ্যা বাড়ানো হলে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হবে বিজেপি। তবে এইসবের আগে সরকারকে একটি দি লিমিটেশন কমিশন গঠন করতে হবে। কমিশনের সুপারিশের পর এই রিপোর্ট অনুসারে সরকারকে সংসদে ফের একটি সংবিধান সংশোধনী বিল আনতে হবে।