আমাদের ভারত, ১১ জুন:ঘরবন্দী বাঙালির মন ভালো নেই। করোনার জেরে সব ওলোট পালোট হয়ে গেছে। তবু তারই মধ্যে আছে বাঙালির ফেবারেট ইলিশ প্রাপ্তির মত ভালো খবর। শুধু সময়ের অপেক্ষা টন টন ইলিশ এবার কলকাতা সহ রাজ্যের বাজার আলো করবে। সাধ্যের মধ্যে পাওয়া যাবে বড় মাপের ইলিশ।
আসলে ইলিশ যে সময়টা বড় হয় সেই সময়টা দেশ জুড়ে ছিল লকডাউন। আর সেই জন্যই খোকা ইলিশ বাজারে আসেনি। তারপরই হানা দিয়েছে আমফান। ফলে দীর্ঘ ৮০-১০০ দিন মাছ ধরতে বের হননি মৎস্যজীবীরা। ফলে ইলিশ বড় হবার সময় পেয়েছে।
তার সাথেই পেয়েছে অনুকূল আবহাওয়া। লকডাউনের কারণে মানুষের আর্থিক ক্ষতি হলেও পরিবেশ কিন্তু নিজেকে শুশ্রূষা করার সুযোগ পেয়েছে। লকডাউনের ফলে বাতাসে কমে গেছে দূষণের মাত্রা।আর তার প্রভাব পড়েছে ইলিশের উপরেও। লকডাউনের কারণে খোকা ইলিশের চোরা-শিকার প্রায় বন্ধ ছিল। ফলে ইলিশের বংশবৃদ্ধি হয়েছে। একই সাথে ইলিশ বেড়ে ওঠার সময় পেয়েছে।
সারা দেশ জুড়ে যে সময়টাতে লকডাউন চলছিল সেটাই সাধারণভাবে ইলিশের বংশবৃদ্ধি সময়। এপ্রিল থেকে জুন ইলিশের প্রজননের সময়কাল। এই পরবর্তী সময়ে ইলিশ মাছ বেড়ে ওঠে। কিন্তু লকডাউন থাকায় প্রজননের সময় বেশি পরিমাণে ইলিশ মাছ বাজারে আসেনি। ফলে মোহনায় থাকা ৫০০ থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ বড় হয়েছে। ফলে ডায়মন্ডহারবার হোক কিংবা দীঘা সব জায়গাতেই জোয়ারের জলে ইলিশের দেখা পাচ্ছেন মৎস্যজীবীরা।
তাই মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে গেলেই তাদের জালে ধরা পড়বে নিদেনপক্ষে এক থেকে দেড় কেজি ইলিশ বলে আশা করা হচ্ছে। রপ্তানির সুযোগ এখনো তেমন নেই। তাই রাজ্যের বাজারে বড় ইলিশের দামও সস্তা হবে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা। ফলে এখন শুধু সমুদ্রের যাওয়ার অপেক্ষা। নির্দেশিকা মেনে তারা ১৫জুনের পর সমুদ্রে যাবেন তারা। আর তার পড়ে বাঙালির পাত আলো করবে বড় বড় ইলিশের রকমারী পদ।