আমাদের ভারত, ২৩ জুন: ইতিমধ্যেই গালওয়ান উপত্যকা হামলার এক বছর পেরিয়েছে। তখন থেকেই পূর্ব লাদাখ সীমান্তে কড়া প্রহরায় রয়েছে ভারতীয় জওয়ানরা। কিন্তু এলএসি বরাবর নিজেদের সেনার অবস্থান বদল করেছে চিন। ভারতের সেনা সর্বাধিনায়ক জেনারেল বিপিন রাওয়াত একথা জানিয়েছেন। কিন্তু হঠাৎ চিন কেন এই সিদ্ধান্ত নিল?
রাওয়াতের কথা অনুযায়ী, তিব্বতের পাহাড়ি এলাকায় থেকে লড়াই করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হয়। পার্বত্য এলাকায় লড়াই করতে ভারতের জওয়ানরা পারদর্শী। তার জন্য তাদের দীর্ঘদিনের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে চিনা সেনারা পিছিয়ে রয়েছে। চিনা সেনারা মূলত সমতল এলাকা থেকেই আসে। খুব অল্প সময়ের জন্য তাদের পাহাড়ি এলাকায় মোতায়েন করা হয়।
বিপিন রাওয়াত জানিয়েছেন, গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর চিন আসলে বুঝতে পেরেছে পাহাড়ি এলাকায় লড়াইয়ের জন্য লাল ফৌজের যে প্রশিক্ষণ দরকার সেটা নেই। আর সেই কারণেই লাদাখের নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সেনার অবস্থান বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
After Galwan clash, Ladakh faceoffs, Chinese Army realised it needs to be better trained: CDS Rawat
Read @ANI Story | https://t.co/TQCNi7zxg6 pic.twitter.com/LPvSYCicLU
— ANI Digital (@ani_digital) June 22, 2021
তবে সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর ভারতীয় সেনা কড়া নজর রাখছে। ২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনারা আগ্রাসনের মুখে পড়েছিল ভারতীয় সেনা। অতর্কিত হামলায় শহীদ হয়েছিল কুড়ি জন জওয়ান। ভারতের দাবি তাদের পাল্টা আঘাতে মৃত্যু হয়েছিল লালফৌজের ৪০-৪২ জনের।