প্রাচীর দেওয়া নিয়ে বিবাদ, বিজেপি নেতাকর্মীদের মারধর ও জমির ফসল কেটে নষ্ট করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ২৭ নভেম্বর:
প্রাচীর দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিবাদ। আর তার জেরে বিজেপি নেতা-কর্মীদের মারধর করে এক নেতার জমির ফসল কেটে নষ্ট করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার গোপালনগরের বেলতা ৪৯ নম্বর বুথ এলাকায়। দুষ্কৃতীদের মারে আহত হয় বিজেপি সমর্থক বাপি মণ্ডল, দাদা আব্দুল মণ্ডল ও তাদের কাকা হোসেন মণ্ডল। এদের মাধ্যে দুই জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি।

স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় বিজেপি সমর্থক রজ্জাক মণ্ডল তাঁর বাড়ির সীমানা, আইন অনুযায়ী জায়গা ছেড়ে প্রাচীর দিয়ে ঘেরে। স্থানীয় তৃণমূল নেতারা প্রাচীর দিতে বাধা দিলে শুরু হয় দুই পক্ষের বচসা। পরে আমিন এনে গ্রামবাসীদের ডেকে তাঁর জমির সীমানা ঠিক করে নেয়। এরপর রাতের অন্ধকারে মুখে কাপড় জড়িয়ে দাঁ, সাবল ও বাঁশ নিয়ে স্থানীয় বিজেপি সমর্থক রজ্জাক মণ্ডলের বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। রজ্জাক মণ্ডলকে মারতে শুরু করে তারা। তাকে মারতে দেখে তাঁর ভাই ও দুই ছেলে ঠেকাতে এলে তাদেরকেও বাঁশ, সাবল দিয়ে আঘাত করে। রজ্জাকবাবুর বড় ছেলে আব্দুল ও ভাই হোসেনকে দাঁ দিয়ে কোপ দেয় দুষ্কৃতিরা। ছোট ছেলে বাপির মাথায় সাবল ও চেলা কাঠ দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ। আহত হয় স্ত্রীও। বর্তমানে তাঁর ভাই ও এক ছেলে
আশঙ্কাজনক অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি।
এই ঘটনায় এলাকার বিজেপি বুথ সভাপতি বশির আলী মণ্ডল বাধা দিতে গেলে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর মাঠের স্যালো মেশিন ও এক বিঘা জমির পটল গাছের গোরা কেটে নষ্ট করে দেয় বলে অভিযোগ। বুধবার সকালে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গোপালনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রজ্জাক মণ্ডল।

যদিও এই ঘটনায় এখনও কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করেনি। ঘটনার তদন্তে পুলিশ। বিজেপির গোপালনগর দক্ষিণের মণ্ডল সভাপতি হরিশঙ্কর সরকার বলেন, বিজেপি করার জন্য তাদেক এই ভাবে অত্যাচার করে ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এই ভাবে বিজেপিকে দমিয়ে রাখতে পাড়বে না। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানিয়েছে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।     
 

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here