আমাদের ভারত, ৩০ এপ্রিল :
করোনায় মৃত্যু কি না যাচাই করার জন্য কমিটি গঠন করেছেন রাজ্য সরকার। এবার সেই কমিটির বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করল বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন কোন নিয়ম মেনে রাজ্যে করোনায় মৃত্যু নির্ধারণ হচ্ছে? কোন নিয়ম মেনে এই অডিট কমিটি গঠন করা হয়েছে? একইসঙ্গে করোনা হাসপাতালে মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ নিয়েও সরব হয়েছে বিজেপি। দিলীপ ঘোষ সওয়াল করেছেন, রাজ্যে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েনের পক্ষেও।
দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, রাজ্যে করণায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে তথ্য গোপন করছে রাজ্য সরকার। এমন কি ভুল তথ্য দিচ্ছে অডিট কমিটি। তাঁর দাবি জনস্বার্থে এই বিষয়ে খতিয়ে দেখা উচিত আদালতের। এছাড়াও হাইকোর্টের কাছে তার আর্জি পুলিশবাহিনীকেও পিপিই ও সুরক্ষা সরঞ্জাম দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা ঘোষণা করেছে মুখ্যসচিব। তিনি জানিয়েছেন এখনো পর্যন্ত রাজ্যে কোভিড পজিটিভ হয়ে মারা গেছেন ১০৫ জন। যার মধ্যে শুধুমাত্র করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। বাকি ৭২ জনের মৃত্যু ইন্সিডেন্টাল। আর এই হিসেব নিয়েই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি।
করোনা হাসপাতালে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং রাজ্যের এই নির্দেশিকা মহামারী আইনের পরিপন্থী বলে দাবি করেছেন। কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হতে পারে আগামী সপ্তাহে বলে জানা গেছে।
রাজ্য সরকার মোবাইলের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কারণ হিসেবে বলেছে মোবাইলের মাধ্যমেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে তাইএই সিদ্ধান্ত। তবে মোবাইলে টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে এই নির্দেশিকা জানানো হয়েছে জেলাশাসক তথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। এই নির্দেশিকা মোবাইলেই মঙ্গলবার পৌঁছেছে তাঁদের কাছে।
এখন থেকে করোনা হাসপাতালে কোনও রোগী বা স্বাস্থ্যকর্মী ঢুকলে তাঁকে মোবাইল জমা রেখে তবেই ঢুকতে হবে। মোবাইল রাখলে একটি রশিদ দেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় আবার ফেরত পাওয়া যাবে মোবাইলটি রশিদ দেখালে। আর রোগীর সঙ্গে যদি তার বাড়ির লোক কথা বলতে চায়, তাহলে হাসপাতালের কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করতে হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই বাঙ্গুর হাসপাতালে একটি ভিডিও ঘিরে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে বাঙ্গুর হাসপাতালে এক মৃত রোগীর সঙ্গে সাসপেক্টেড এক করোনা রোগীকে থাকতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে এক যুবক। এই ভিডিওটি টুইট করেছিলেন আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। বাবুলের দাবি, এই ভিডিও প্রকাশ করার পরই করোনা হাসপাতলে মোবাইল নিষিদ্ধ করেছে রাজ্য সরকার।