আমাদের ভারত,২৭ নভেম্বর: তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তবু বিজেপি তাকে বাধ্য করেছে। ভাবুন! বিজেপির কাছে মুখ্যমন্ত্রী নাকে ক্ষত দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছেন। রবিবার বীরভূমে বসে এভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর সাম্প্রতিক সৌজন্য সাক্ষাৎকে ব্যাখ্যা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
রবিবার বোলপুরের নিকটবর্তী কাছারিপট্টিতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান সুকান্ত। তাদের সঙ্গে বসে, মোদীর মন কি বাত অনুষ্ঠান শোনেন তিনি। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা ও শুভেন্দুর সাম্প্রতিক সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে কড়া বার্তা দেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির চাপের মুখে পড়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বাধ্য হয়েছেন। বিজেপি বলেই এমনটা তাকে দিয়ে করাতে পেরেছে দাবি সুকান্তর। তাঁর হুঁশিয়ারি আগামী দিনে আরও এমন ঘটনার সাক্ষী থাকবে বাংলার মানুষ।
সুকান্ত মজুমদার জানান, তিনিও জনপ্রতিনিধি। কিন্তু তাকেও কোনো দিন কোনো প্রশাসনিক বৈঠকে মমতা ডাকেনি। অথচ এখন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন সর্ব দলের বিধায়কদের নিয়ে দিল্লি যাবেন, কেন্দ্রের কাছে দরবার করবেন সব দলের বিধায়করা মিলে। কেন্দ্রের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা চাইবেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত। তাঁর বক্তব্য, এতদিন যে বিরোধী বিধায়কদের কোনো প্রশাসনিক কাজে কার্যত পাত্তা দেওয়া হয়নি। এখন ঠেকায় পড়ে তাদেরই শরণাপন্ন হচ্ছেন মমতা। আর সেই কারণেই বিরোধী দল নেতাকে ডেকে পাঠিয়েছেন তিনি।
পৌষ মেলার টানাপোড়েন নিয়ে সুকান্ত মজুমদার জানান, পৌষ মেলায় বোলপুরের মানুষের আবেগ আর মানুষের পাশে সব সময় থাকে তাদের দল। তারা চান পৌষ মেলা হোক এবং পুরনো জায়গাতেই হোক। কিন্তু বিশ্বভারতী যেহেতু একটি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান তাই তাদের কোনো বিষয়ে বিজেপি হস্তক্ষেপ করবে না। এদিকে শনিবার পৌষ মেলা নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। কিন্তু তিনি নিজেই সেই বৈঠকে আসেননি এই নিয়ে নানা মহলের সমালোচনা শুরু হয়েছে। ফলে কৌশলেই এই ঘটনা থেকে দূরত্ব বজায় রাখলেন সুকান্ত মজুমদার বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে মমতা- শুভেন্দু সাক্ষাতের পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চায়ের জন্য নিমন্ত্রণ করেছেন শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। তা নিয়েও প্রশ্ন করা হলে সুকান্ত বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তৃণমূলের সাংসদ। তিনি তার দলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ করেছেন। আমরা থার্ড পার্টি আমরা এতে কি বলবো? এটা আমাদের দলের বিষয় নয়।”