লক্ষ্য পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোট, ওবিসি মোর্চার বিরাট কর্মসূচি নিয়ে এবার মানুষের দরজায় বিজেপি

আমাদের ভারত, ১৯ মার্চ:
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে বিজেপি ময়দানে নামছে। বিজেপির পক্ষ থেকে ওবিসি মোর্চার কার্যক্রম ঘোষণা করা হয়েছে শনিবার। ৬ থেকে ১৪ এপ্রিল নয় দিনব্যাপী বিজেপির ওবিসি মোর্চার বিশেষ কার্যক্রম চলবে। মোদী সরকার ওবিসিদের জন্য কী কী ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে তার প্রচার করাই এই কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য, যার ফল পঞ্চায়েত ভোটেও তারা পাবেন বলে আশা করছেন।

তবে শুধু আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট নয়। বছর ঘুরলেই ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে বিজেপি ওবিসি ভোটকে নিশ্চিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। মোদী সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ এর পাশাপাশি রাজ্য সরকার কী কী নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে তাও প্রচার করা হবে বিজেপির মোর্চার পক্ষ থেকে। ওবিসি মোর্চার এই কর্মসূচিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিজে অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়াও বিজেপি সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ এই কর্মসূচিতে বিশেষ ভাবে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।

বিরোধীদের কর্মসূচিতে বার বার রাজ্য পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ করে বিজেপি। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দলে ওবিসির মোর্চার কর্মসূচিতেও রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন বাধা দেবে নিশ্চিত। কিন্তু আমরা সেই বাধাকে জয় করে এই কর্মসূচি সফল করব।”

এছাড়াও একাধিক বিষয় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, সংখ্যালঘু ভোট ফেরাতে তৃণমূল নতুন উঠে আসা মুসলিম নেতৃত্বকে গুরুত্ব দিয়েছে। কিন্তু যারা দলটা তৈরি করেছিল তাদেরকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তৃণমূলের গতকালের বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। সুকান্ত বলেছেন, ফিরহাদ হাকিমদের পরিবর্তে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, মোশাররফ হোসেনরা গুরুত্ব পাচ্ছেন। সেখানে ফিরহাদ হাকিমকে হাওড়া হুগলির দায়িত্বে ফেরালেও তার রাশ কোথাও একটা টানার চেষ্টা করা হয়েছে। সুকান্তর কথায়, “দলের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে বলা হয়েছে তাঁকে। ভাইপোর অনুমতির পর গলার চাবি খুলতে পারবেন ফিরহাদ।”

অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অখিলেশ যাদবের বৈঠকের পর তৃতীয় ফ্রন্ট নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে। কিন্তু এই বিজেপি বিরোধী জোট গঠনের চেষ্টাকে সুকান্ত মজুমদার সোনার পাথরবাটি বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি বলেন, “সিপিএম ছাড়া তৃতীয় জোট হবে কি করে হবে?প্রকাশ কারাট বা ইয়েচুরির সঙ্গে মমতা হাত ধরে ‘আয় তবে সহচরী গাইতে পারবেন?’ ২০১৯ এর ইউনাইটেড ফ্রন্ট গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন। তখন তো সবাই হাত ধরাধরি করেছিলেন। আসলে কে কার হাত ধরবেন? সবার মনেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনা ছিল। মনে হচ্ছিল থার্ড ফ্রন্ট প্রতি মাসে একজন করে প্রধানমন্ত্রী দেবে। কিন্তু সেই অস্থিরতা ভারতবাসী চায় না। প্রধানমন্ত্রীর পদ অলরেডি অকুপাইড বাই নরেন্দ্র মোদী।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *