আমাদের ভারত, কোচবিহার, ১২ জানুয়ারি: শীতলকুচিতে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে গ্রেফতার হলেন বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু সহ জেলা নেতৃত্ব। থানায় নিয়ে যাওয়ার পথেই মোবাইল ফোনেই কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ পরিকল্পিত ভাবে তাদের সভা বাতিল করল।
আজ শীতলকুচি গোঁসাইরহাট হাইস্কুল প্রাঙ্গণে বিজেপির ডাকে অভিনন্দন যাত্রা কর্মসূচিতে যোগদান করার কথা ছিল বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর। সেইমতো সায়ন্তন বসু সহ জেলার অন্যান্য নেতারা মাথাভাঙ্গার পঞ্চানন মোড়ে পৌঁছলে তাদের গাড়ি আটকায় পুলিশ। শীতলকুচিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। বিজেপি নেতারা শীতলকুচিতে যাওয়ার জন্য জোর করলে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিজেপি নেতাদের গ্রেপ্তার করে মাথাভাঙ্গা থানায় নিয়ে আসা হয়।
থানায় আসার পথেই মোবাইলফোনে গোঁসাইরহাটে জড়ো হওয়া কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন সায়ন্তন বসু। সায়ন্তন বসু অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে, বেআইনিভাবে শীতলকুচি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, যাতে বিজেপি সেখানে সভা করতে না পারে। তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর চলাকালীন কলকাতার বিভিন্ন জায়গা রাস্তা অবরোধ করছে কিছু মানুষ, অথচ তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, কিন্তু আমাদের একটা অনুষ্ঠানের জন্য শীতলকুচিতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এরপরে আরো লোক নিয়ে তারা শীতলকুচিতে সভা করবেন বলে সায়ন্তন বসু জানান। শীতলকুচিতে ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে তারা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন সায়ন্তন বসু।
এদিন সায়ন্তন বসু সাথে গ্রেপ্তার হন বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতি রাভা রায়। তিনি অভিযোগ করেন, শীতলকুচির বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মীরা শাসকদলের হাতে আক্রান্ত হচ্ছে, অভিযোগ জানিয়ে পুলিশকে কোনও লাভ হচ্ছে না। সেখানে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না, কিন্তু যখন আমরা আজ সেখানে একটি সভা করতে যাবো ঠিক করেছিলাম, তখন আমাদের পথ আটকানো হচ্ছে।
জেলার পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বালকার জানিয়েছেন, শীতলকুচি এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা থাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিজেপি নেতাদের যেতে দেওয়া হয়নি, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
পরে মাথাভাঙা থানা থেকে বেরোনোর সময় সায়ন্তন বসু কে লক্ষ্য করে কটূক্তি করতে থাকে কিছু যুবক। এই সময় বিজেপি কর্মীদের সাথে তাদের বচসা বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ওই যুবকদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।