হিলি-টুরা করিডরের বাস্তবায়ন নিয়ে শেখ হাসিনাকে চিঠি বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের

পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ২৮ ডিসেম্বর: হিলি-টুরা করিডর দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিলেন বালুরঘাটের সাংসদ। সোমবার একই সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও ইমেল করেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সম্প্রতি করিডর ইস্যু নিয়ে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর সাংসদের এমন উদ্যোগ যথেষ্ঠই উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।

দীর্ঘদিন করিডর আন্দোলনের সাথে যুক্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সংগঠনগুলিও আশাবাদী সাংসদের এমন উদ্যোগে। সুদুর মেঘালয় থেকে শিলং ও টুরা হয়ে মহেন্দ্রগঞ্জ, বাংলাদেশের গাইবান্ধা, পলাশবাড়ি হয়ে হিলিতে আসা এই করিডরের দূরত্ব মাত্র ১০০ কিলোমিটার। বর্তমানে এই সব এলাকা থেকে মেঘালয়ে যাবার রাস্তা যেমন দীর্ঘ তেমনই রয়েছে ঘুরপথও, যা এই করিডরের মাধ্যমে মাত্র ৩ ঘণ্টায় যাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, এই করিডরের পাশ দিয়ে চলে গেছে বিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম সড়ক এশিয়ান হাইওয়ে ওয়ান, যে সড়কের মাধ্যমে জাপান সহ ইরান ইরাকের যাতায়াত পথও তৈরি হচ্ছে। আর যার সাথেই এই করিডরের সংযুক্তির মাধ্যমে এক অন্য দিশা পাবে দক্ষিন দিনাজপুরের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো।

এই করিডরের মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে খনিজ সম্পদে পরিপুর্ন মেঘালয় বা শিলং থেকে যেমন খনিজ সম্পদ আনবার মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া দক্ষিণ দিনাজপুর আগামীতে হয়ে উঠতে পারে শিল্প স্থাপনের এক উপযোগী জেলা। তেমনই গোটা উত্তরপূর্ব ভারতের সাথে যোগাযোগের এক বিকল্প পথ তৈরি হলে সমগ্র দেশের অনেক উন্নতি সাধন ঘটবে বলেও মনে করছেন অনেকে। বাংলাদেশের মধ্যদিয়ে হিলি থেকে মেঘালয় মাত্র তিন ঘণ্টার পথ অতিক্রম করলেই উত্তরপূর্ব ভারতের সাথে যোগাযোগ সম্পন্ন হবে অতি সহজেই। এমন সব বিষয় সামনে রেখে বালুরঘাটের সাংসদের এই উদ্যোগ যথেষ্ঠই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন জেলার বিশেষজ্ঞ মহল।

সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, সম্প্রতি করিডর ইস্যু নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হয়েছে দুই দেশের প্রধান মন্ত্রীর মধ্যে। যার পরেই তিনি বিষয়টি দ্রুততার সাথে দেখার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। এই করিডর হলে আমাদের জেলার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here