আমাদের ভারত, কলকাতা, ২ মে: কর্নাটকে আটকে পড়া কয়েক হাজার মানুষকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনার আবেদন জানালেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন জানান এবং দ্রুত কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করার জন্য বলেছেন।
গতকালই রাজস্থানে আটকে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ বাসে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাদের পৌছে দেওয়া হয়েছে নিজের নিজের জেলায়। রাখা হয়েছে হোম কোয়ারেন্টিনে। এবার ব্যাঙ্গালোর সহ কর্ণাটক আটকে পড়া হাজার হাজার মানুষকে ফিরিয়ে আনার জন্য টুইট করলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ ডক্টর সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, কর্নাটকে কমপক্ষে ১৭ হাজার মানুষ আটকে রয়েছে। তাদের মধ্যে রোগী, ছাত্র-ছাত্রী এবং শ্রমিক রয়েছেন। এরা অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তাদের রাজ্যে ফেরত পাঠাতে চাইছে কর্নাটক সরকার। সেখানকার নোডাল অফিসার রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন কিন্তু তারপরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ করা হয়নি। তাই তাদের ফিরে আনার বিষয়টি এখনও অনিশ্চিত। এই অবস্থায় তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে টুইট করে জানান আপনার কাছে অনুরোধ আপনি এদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুন।
Respected @MamataOfficial
Our people are waiting to return from Bangaluru, Karnataka.Please instruct your nodal officer to contact with Shri Manoj Jain, IAS, nodal officer of Karnataka Government..— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) May 2, 2020
এ ব্যাপারে ব্যাঙ্গালোরের বঙ্গীয় সমাজের সভাপতি সৌরভ মুখার্জি বলেন, এখানে প্রায় ১৭ হাজার মানুষ আটকে রয়েছে। তাদের খাবার সহ বিভিন্ন ভাবে আমরা সাহায্য করছি। আমরা এ ব্যাপারে রাজ্যপালকে টুইট করে অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কেন্দ্রের ঘোষণার পর কর্ণাটক সরকারও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছেন। সেই নোডাল অফিসার পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও এখনো ইতিবাচক কোনো সাড়া পাননি। ওই নোডাল অফিসারের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। ব্যাঙ্গালোর আটকে পড়া মানুষের তথ্য দেওয়া হয়েছে তাঁকে। আজ সকালেও সৌরভবাবুর সঙ্গে কর্নাটকের নোডাল অফিসারের কথা হয় কিন্তু তারা বারবার চেষ্টা করেও পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত নোডাল অফিসার পিবি সেলিমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। সৌরভবাবু জানান, তিনি নিজেও পিবি সেলিমকে ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবকে মেসেজ পাঠিয়ে এবং তাকে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এখনো পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে কর্ণাটক সরকার অথবা বঙ্গীয় সমাজ কোনও যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি।