অর্জুন সিংয়ের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার

নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্যারাকপুর, ২৩ জানুয়ারি:
আজ ২৩ শে জানুয়ারি উপলক্ষে নেতাজির মূর্তিতে মালা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠলো ভাটপাড়া। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এই সময়ে অর্জুন সিং এর উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। তাকে বাঁচাতে তার নিরাপত্তা রক্ষীরা ৭ রাউন্ড গুলি চালায় বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

আজ সকালে ভাটপাড়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নেতাজী মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যান বিজেপি নেতা সাংসদ অর্জুন সিং। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূলের তরফ থেকে অর্জুন সিংকে মালা পরাতে বাধা দেওয়া হয়। এই নিয়ে অর্জুন সিংয়ের সাথে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। ইতিমধ্যে সেখানে যান ভাটপাড়া পৌর প্রশাসক গোপাল রাউত। তখন অর্জুন সিংয়ের সাথে বাগবিতণ্ডা ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায় প্রশাসক গোপাল রাউতের। দুই দলের সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতি বচসা শুরু হয়। এরপর শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ। এমনকি অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে গোপাল রাউতের হাতাহাতির উপক্রম হয়। শুরু হয় ইট বৃষ্টি। কিছু সময়ের মধ্যে এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।

পরিস্থিতি সামাল দিতে সাংসদের নিরাপত্তা রক্ষীরা ৭ রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পৌঁছায় ভাটপাড়া থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। গোপাল রাউত গুরুতর অভিযোগ করেন, অর্জুন সিংয়ের দেহরক্ষী সিআইএসএফ জাওয়ানরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে।

এই ঘটনা সম্পর্কে সাংসদ অর্জুন সিং বলেন “সামনে পৌরসভা নির্বাচন আছে, তাই এই ধরনের অশান্তি শুরু করেছে তৃণমূল। এই ঘটনায় আমাকে আর আমার ছেলেকে লক্ষ্য করে ইট মারা হচ্ছিল, আমার কানের পাশ দিয়ে গুলি বেরিয়ে গেছে, আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। পুলিশের সামনেই চলছিল সব। সেই সময় আমার নিরাপত্তা রক্ষীরা আমাকে বাঁচাতে গুলি চালায়।”

এর কিছু পর ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। তিনি এদিন বলেন, “নেতাজী মূর্তিতে মালা পরানো নিয়ে একটা গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়েছিল তবে এখন তা অনেকটা নিয়ন্ত্রনে। গুলি চালানোর অভিযোগ এসেছে আমরা সেটা তদন্ত করে দেখছি।”

এরপর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ভাটপাড়াতে আসেন। নেতাজীর ওই মূর্তিতে মালা দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন রাজ্য পুলিশ সাংসদের নিরাপত্তা দিতে ব্যার্থ।” তিনি এই ঘটনায় ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা পদত্যাগ দাবি করেন।

অন্যদিকে গতকাল রাতে পানিহাটির ধানকলে বিজেপির যুব নেতার উপর হামলার ঘটনায় তৃণমুলকেই দায়ী করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে, তৃণমূল দুষ্কৃতীরাই বোমা, পিস্তল নিয়ে জয় সাহার ওপর হামলা চালিয়েছে।” অভিযোগ উঠেছে জয় সাহার ওপর হামলার ঘটনার পর তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে বিজেপি বোমাবাজি করেছে। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে বোমাবাজি হয়েছে। কারণ তৃণমূলের এখন অনেক গোষ্ঠী, সেই কারণেই নিজেদের পার্টি অফিসের সামনে তারা বোমাবাজি করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *