সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২৪ জানুয়ারি: চার দিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর সভা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সেই সভাস্থল ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ এর মাধ্যমে পরিস্কার করল বিজেপি। এই নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হল পুরুলিয়ায়।
আজ পুরুলিয়ার হুটমুড়া ফুটবল ময়দানের মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থলে বিজেপির পতাকা ধরে ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযানে’র মাধ্যমে মাঠ পরিষ্কার করেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। এরপরই মাঠ পরিদর্শনে যান জেলা তৃণমূল সভাপতি গুরুপদ টুডু, জেলা তৃণমূল মুখপাত্র নবেন্দু মাহালি সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতাকর্মীরা। বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর অভিযোগ তোলে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। 
আগে থেকেই পরিষ্কার মাঠে স্বচ্ছ ভারত অভিযান চালিয়ে রাজনৈতিক ইস্যু বানানোর অভিযোগ তোলেন জেলা তৃণমূল মুখপাত্র নবেন্দু মাহালি। তিনি বলেন, “প্রথমত যেখানে সভা হয় সেটা মাঠ ছিল না। কেউ খেলত না সেখানে। আমরা উঁচু মাটি কেটে সমান করে সভা করার উপযোগী করে তুলি। একটা বড় সভা শেষ হওয়ার পর থেকে তিন চার দিন ধরে ডেকোরেটার্সের লোকজন তাদের খুঁটি বাঁশ প্রভৃতি তোলার কাজ করেন। এখানে তাই হয়েছে। এর মধ্যেই বিজেপি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ঝান্ডা উঁচিয়ে দেশের সেবা করার নাটক করছে। আমাদের পরিকল্পনাই রয়েছে সাত দিনের মধ্যে ওই স্থানটি পরিষ্কার করে খেলার উপযোগী করে তুলব ওই স্থানটি। বিজেপি পুরুলিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতিভেদে নোংরা আবর্জনায় ভরিয়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে। সেটা ভারতবাসী কাল ভিকটোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানে দেখেছে।”
দলীয় এই উদ্যোগের পক্ষে সাফাই দিয়েছেন বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক বিবেক রাঙা। তিনি বলেন, “তৃণমূল রাজনীতি করার সুযোগ করে দিচ্ছে কেন? চার দিন ধরে মাঠ পরিষ্কার করতে পারল না তারা?”
ছবি: মাঠ পরিদর্শনে তৃণমূল নেতারা।
গত ১৯ জানুয়ারি পুরুলিয়ার হুটমুড়া ফুটবল ময়দান সংলগ্ন স্থানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক সভা হয়। বিপুল সংখ্যক জনসমাগম দেখা দেয় সেদিন। স্বাভাবিক ভাবেই আবর্জনায় ভরে ওঠে ওই মাঠ। জনসভার চার দিন পর মুখ্যমন্ত্রীর সেই সভাস্থল ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযানে’র মাধ্যমে পরিষ্কার করেন বিজেপি নেতাকর্মীরা। বিজেপির জেড পি ২১ মন্ডলের উদ্যোগে ওই সাফাই অভিযানে অংশ নেন জেলা বিজেপি নেতা বিবেক রাঙা ছাড়াও স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্যা বর্ষা দত্ত, স্থানীয় মন্ডল সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ।