
আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ১৮ মার্চ: জোর করে বিজেপি কর্মীর জমি দখলের চেষ্টা, আর তাতে বাধা দিতে গেলে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত হয়েছেন এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা সহ মোট চারজন। বুধবার বেলা এগারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসন্তী থানার অন্তর্গত চন্দ্রকণা দাসপাড়া এলাকায়। এই ঘটনায় পঞ্চানন দাস নামে বিজেপির এক বুথ সভাপতি সহ তার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী ভগীরথ দাস ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে।
পঞ্চাননের অভিযোগ, জোর করে তার জমি দখল করছিলেন ভগীরথ ও তার লোকজন। তিনি বাধা দিতে গেলে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার এক অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে ও আরও দুই সন্তান গুরুতর জখম হন। পঞ্চানন বাবুদের অভিযোগ, এলাকায় বিজেপি দল করার কারণেই তাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের দাবি, এর পিছনে রাজনীতি নেই। জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই গণ্ডগোল হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অভিযোগ, পঞ্চান্নদের প্রায় এক বিঘা ষোল কাঠা জমির উপর তাদের বাস্তুবাড়ি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সেই জমির বেশ কিছুটা দখলের চেষ্টা করছে ভগীরথ ও তার অনুগামীরা। এ নিয়ে আগেও দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। একাধিকবার পুলিশ ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়েছে। তবুও বিবাদ মেটেনি দু’পক্ষের মধ্যে। বুধবার সকালে আবার ভগীরথ ও তার লোকজন জোর করে পঞ্চাননের জমির উপর ঘর বাঁধতে গেলে বাধা দেয় পঞ্চানন। অভিযোগ তখন লাঠি, বাঁশ, ইট দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্তরা। বাবাকে মার খেতে দেখে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে টুম্পা বাঁচাতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। ছেলে রবি দাসও আক্রান্ত হয় অভিযুক্তদের হাতে। এরপর অন্যান্য প্রতিবেশীরা এসে আক্রান্তদের উদ্ধার করে বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান।
এলাকার তৃণমূল নেতা তাপস মণ্ডল বলেন, “এটা নিতান্তই পারিবারিক গণ্ডগোল, এর পিছনে রাজনীতি নেই। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক”।