
গোপাল রায়, আরামবাগ, ২৩ মার্চ: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর, দলীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া ও কার্যালয়ে ভাঙ্গচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী। মারধর ও ভাঙ্গচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। চলছে পুলিশি টহল। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির আরামবাগ থানার তিরোল এলাকায়।
জানাগেছে, মারধর করা হয় ছয় বিজেপি কর্মীকে। বিজেপি কর্মীদের মারধরের পাশাপাশি বিজেপি কার্যালয়ের হামলা চালায়। ভাঙ্গচুর করা হয় চেয়ার, টেবিল। ছিঁড়ে ফেলা হয় ফেক্স এবং নথিপত্র। বিজেপির অভিযোগ, রবিবার রাতে বেশ কিছু তৃণমূলের লোকজন দলীয় কার্যালয়ে এই ভাঙ্গচুর চালায়। বিজেপির পতাকাগুলি ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়।
সোমবার সকালে খবর পেয়ে বিজেপির কার্যকর্তা ও কর্মীরা তাদের দলীয় কার্যালয় দেখতে আসেন। অভিযোগ, সেই সময় তাদের ওপর চড়াও হয় বেশ কিছু তৃণমূল আশ্রি দুষ্কৃতী। তাদের বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এই ঘটনায় আহত হয় ৬ জন। এরপর এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ছুটে আসে আরামবাগ থানার পুলিশ। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এ বিষয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি লক্ষ্মী মন্ডল বলেন, বিজেপির কার্যালয়ে ভাঙ্গচুর ও মারধরের ঘটনায় আমাদের তৃণমূলের দলের কেউ যুক্ত নেই। নিজেরাই পার্টি অফিস ভেঙ্গে তৃণমূলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। আমরা চাই গোটা গ্রাম শান্তিতে থাক, যাতে কোনো অশান্তি না হয়।
এই ঘটনা বিষয়ে বিজেপির মন্ডল সভাপতি শুভেন্দু কোলে জানান, শুধু এখানেই নয় বেশকিছু জায়গায় আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছে, কার্যালয়ে হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছে শাসক দল। ২০২১–এ এর জবাব দেবে মানুষ।