আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা: ডেপুটেশন দিতে গিয়ে পুলিশের হাতে বেধড়ক মার খেলেন বিজেপি কর্মীরা। মহিলা এবং পুরুষ মিলিয়ে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মারতে মারতে থানা থেকে বের করে দেওয়া হয়, এমনকি রাস্তাতে ফেলে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা খড়দহ থানার।
জানাগেছে, বুলেট রায় নামে এক বিজেপি সমর্থককে খড়দহ থানার পুলিশ অস্ত্র আইনে গ্রেপ্তার করেছে। ওই বিজেপি সমর্থককে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের অভিযোগ তুলে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বুধবার সন্ধ্যায় বিজেপি কর্মীরা খড়দহ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বেশ কিছুক্ষন বিজেপি কর্মীরা খড়দহ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়, পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করে বিজেপি কর্মীরা।
বিজেপি যুব মোর্চার স্থানীয় নেতা পিন্টু দাস বলেন, বুলেট রায় বিজেপির সক্রিয় কর্মী, তাকে পুলিশ বিনা অপরাধে থানায় নিয়ে এসে অস্ত্র আইনে গ্রেপ্তার করেছে। বুলেট রায়ের কাছে কোনও অস্ত্র ছিল না। ওকে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। ওর নিঃশর্ত মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত খড়দহ থানার পুলিশের বিরুদ্ধে আমাদের বিক্ষোভ চলবে।” দীর্ঘক্ষণ খড়দহ থানার গেট আটকে গাড়ির টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়।
এরপর বিজেপি নেতা কর্মীদের এক প্রতিনিধি দল থানার ভেতরে ঢুকে ডেপুটেশন দিতে যান। বিজেপির অভিযোগ, সেই সময় পুলিশ তাদের লাঠি দিয়ে মারতে মারতে থানা থেকে বের করে দেয়। এমনকি থানার সামনে রাস্তায় ফেলে তাদের বেধড়ক পেটানো হয়। এই অমানবিক মারধরে তাদের প্রায় ৩০ জন কর্মী আহত হয়েছে বলে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। একজন মহিলা কর্মীর মুখ ফেটে গেছে, এছাড়া বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পিন্টু দাস, জেলা সম্পাদক জয় সাহা, যুবনেতা মলয় কুন্ডু সহ ৯ জন মহিলা।