আরামবাগে দিলীপ ঘোষের জনসভা যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙ্গচুর

আমাদের ভারত, আরামবাগ,১৫ নভেম্বর: আরামবাগে দিলীপ ঘোষের সভায় যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙ্গচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর অভিযোগও করেছে বিজেপি।

আজ আরামবাগের গড়বাড়ি ফুটবল মাঠে জনসভা ছিল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। সেই সভায় আসার পথে আরামবাগের বোলান্ডি এবং গোঘাটে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। গোগাটে বিজেপি কর্মীদের দুটি গাড়ি ভাঙ্গচুর করা হয়েছে। বোলান্ডিতে তিনটি গাড়ি ভাঙ্গচুর করা হয়েছে। মারধরের ফলে তাঁদের সাতজন কর্মী আহত হয়েছেন। প্রকাশ্য জনসভায় তৃণমূলকে আক্রমণ করেন দিলীপ ঘোষ বলেন, এই সভায় আসার সময় বেশ কিছু গাড়ি ভাঙ্গচুর হয়েছে, এক জায়গায় গুলি চলেছে।

কাশীনাথ ঘোষ ও আমির আলি খান নামে আমাদের দু’জন সক্রিয় কর্মীকে এখানে তৃণমূল হত্যা করেছিল, তাদের শ্রদ্ধা জানাতে ও প্রতিবাদ জানাতে আজকে আমরা সভার আয়োজন করেছি। মেদিনীপুরের দাঁতনে আমাদের সক্রিয় কর্মী আদিবাসী সমাজের ছেলে বর্ষা হাঁসদাকে কাল বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে গাছে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার দোষ ছিল রাজনৈতিক পরিবর্তনের কথা বলেছিল। তিনি বলেন, বিহারে লালু প্রসাদ বলতো যব তক সমোসামে আলু রাহেগা, বিহারে তব তক লালু রহেগা। এখন মানুষ ওই স্লোগান বদলে বলছেন যব তক সমোসামে আলু রহেগা, তব তক জেল মে লালু রাহেগা।

দিদি ইভিএম কে ভয় পেয়েছে। তৃণমূল এনআরসি নিয়ে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।বাংলার পাঁচজন ছেলের কাশ্মীরে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে। কাশ্মীরে যাওয়া বাংলার শ্রমিকরা মারা যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী মমতা ব্যানার্জি। কারণ বাংলায় কাজ নেই।আপনার অযোগ্যতা জন্য বাংলা আজ কাঙাল হয়ে গেছে।চাকরি করতে গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রে যেখানে বিজেপি শাসিত রাজ্য রয়েছে চলে যেতে হচ্ছে। ৩০ টাকা খরচা করে এক কেজি চাল এখানে পাঠাচ্ছে কেন্দ্র।কেন্দ্রকে দিদি ১ টাকা দিচ্ছে আর ২ টাকা কেজি চাল বিক্রি করছে। কেন্দ্রের পাঠানো টাকা দিদির ভাইয়েরা লুঠে নিচ্ছে। শৌচালয়ের টাকা, বাড়ি তৈরীর কেন্দ্র সরকারের পাঠানো টাকা, রাস্তার টাকা নেতারা খেয়ে নিচ্ছে। এখন যে তৃণমূল নেতাদের দেখছেন তাদের একসময় বিড়ি খাওয়ার পয়সা ছিল না। এখন চা খাচ্ছে, সিগারেট খেয়ে গোল গোল ধোঁয়া ছাড়ছে। এইসব করছে পঞ্চায়েত জেলা পরিষদের ঝাড়া টাকায়। দুর্নীতির দায়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েতের নেতাদের চুঁচুড়া জেলে রাখবো আর রাজ্য স্তরের নেতাদের কলকাতার সেন্ট্রাল জেলে রাখবো। আর তার থেকেও বড় নেতাদের ওড়িশার জেলে রাখা হবে। লুঠ করা পয়সা ভোগ করতে পারবেন না। এই জাঙ্গিপাড়ায় আমাদের দুজন কর্মী শহীদ হয়েছে। আমরা মনে রাখি সব ভুলি না। নতুন বাংলা করব আমরা। এদিনের সভায় দিলীপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারতী ঘোষ , আরামবাগ জেলা সাংগঠনিক সভাপতি বিমান ঘোষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *