পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ১৮ ডিসেম্বর: সম্পত্তি নিয়ে পুরনো বিবাদ, কুড়ুল দিয়ে নিজের দাদাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের গুরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটিকা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম নিখিল দাস (৪০)। ঘটনা জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের তপন থানায়। মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। যদিও এই ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তাদের অভিযোগ, দলের একনিষ্ঠ কর্মীকে ছক কষেই খুন করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এলাকার বাসিন্দা উপেন দাসের মেজো ছেলে নিখিল দাস। তাদের চার ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই আগেই মারা গেছে। বর্তমানে প্রত্যেকে আলাদা থাকলেও জমিজমা নিয়ে পুরনো বিবাদ চলছিল তিনভাইয়ের মধ্যে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে নাগাদ বাজার থেকে ফেরার সময় নিখিল দাসের মাথায় কুড়ুল দিয়ে আঘাত করে সেজো ভাই রাম দাস ও ছোট ভাই নিরোদ দাস বলে অভিযোগ। ঘটনার সময় সেখানে আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতি ছিল বলে অভিযোগ বিজেপির। যদিও ওইদিন রাতে ঘটনার পরেই গুরুতর আহত অবস্থায় নিখিল দাসকে প্রথমে তপন হাসপাতালে এবং পরে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ভায়েরাই তার মৃত্যুর জন্য দায়ী যা পুলিশকে স্বীকারোক্তিও দিয়েছে মৃত নিখিল বলে সূত্রের খবর। যদিও এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি উড়িয়ে দিয়ে এই ঘটনাকে সম্পূর্ণ পারিবারিক বিবাদ বলেই দাবি করেছে তৃণমূল।
মৃতের আত্মীয় সৌমেন দাস জানিয়েছেন, জমিজমা নিয়ে একটা পুরনো বিবাদ চলছিল ভাইয়েদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার বাজার থেকে ফেরার সময় নিখিলের মাথায় কুড়ুল দিয়ে আঘাত করে তার দুই ভাই। তবে প্রকৃত কি কারণে এ ঘটনা পুলিশি তদন্তে তা সামনে আসবে। বিষয়টি নিয়ে মৃতের স্ত্রী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, ব্লকের এসসি মোর্চার সহ সভাপতি পদে ছিলেন নিখিল। তার ভাইয়েরা তৃণমূল করায় বিবাদ লেগেই থাকতো। পরিকল্পনা করে নিখিলকে খুন করেছে তার ভাইয়েরা। ঘটনার জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান তিনি।
তপন থানার ওসি সৎকার সাংবো জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।