বনধের সমর্থনে মিছিল করায় বিজেপি কর্মীকে মারধর, বনধ সর্বাত্মক, দাবি জেলা সভাপতির

স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ১৪ জুলাই: বনধের সমর্থনে মিছিল করায় চঞ্চল রায় নামে এক বিজেপি সমর্থককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি হেমতাবাদ থানার কাকড়সিং এলাকায়। আহত বিজেপি সমর্থককে চিকিৎসার জন্য হেমতাবাদ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হয়েছে। এই ঘটনাটি কেন্দ্র করে হেমতাবাদে সামান্য উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও হেমতাবাদ পুলিশ মারধারের ঘটনা অস্বীকার করেছে।বিজেপি অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারের গ্রেপ্তারের দাবি করেছে।

ছবি: আহত বিজেপি কর্মী।

হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্র নাথ রায়ের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলে ১২ ঘন্টার উত্তরবঙ্গ বনধ পালিত হচ্ছে উত্তর দিনাজপুর জেলাসহ গোটা উত্তরবঙ্গজুড়েই। বিজেপির ডাকা বনধে রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ কালিয়াগঞ্জ সহ সমগ্র উত্তর দিনাজপুর জেলায় কোথাও খোলেনি কোনও দোকানপাট বসেনি হাটবাজার। রাস্তায় চলছে না কোনও যানবাহন। সরকারি বাস চালানোর চেষ্টা করা হলে বন্ধ সমর্থকরা সরকারি বাস চালানো আটকে দেয়। বনধকে ঘিরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও রায়গঞ্জ শহরজুড়ে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা ব্যাবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।

ছবি: বাজারে বিজেপি কর্মীদের বাইক মিছিল।

উল্লেখ্য, সোমবার সকালে নিজের বাড়ি থেকে খানিকটা দূরে বালিয়ামোড় এলাকায় এক বন্ধ দোকানের সামনে বারান্দায় ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্র নাথ রায়ের। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে হেমতাবাদ সহ গোটা উত্তর দিনাজপুর জেলায়। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সোমবার হেমতাবাদে মৃত বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্র নাথ রায়ের বাড়িতে আসেন বিজেপির মন্ত্রী, সাংসদ থেকে রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপি বিধায়ককে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

এই খুনের ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ মঙ্গলবার ১২ ঘন্টার বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বিজেপির ডাকা সেই উত্তরবঙ্গ বনধে ব্যাপক সাড়া।

বিজেপির ডাকা সেই উত্তরবঙ্গ বনধ সর্বাত্মক। তবে রাজ্য সরকার সরকারী বাস পরিষেবা চালাতে গেলে তা আটকে দেয় বনধ সমর্থনকারী বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, হেমতাবাদের দলীয় বিধায়ক দেবেন্দ্র নাথ রায়ের মৃত্যুর ঘটনা মানুষ মেনে নিতে পারেনি, তাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ আজকে উত্তরবঙ্গ বনধ পালন করছে। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার পুলিশ দিয়ে সরকারি বাস চালিয়ে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করা চেষ্টা করছে কিন্তু মানুষ তা মানছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *