
আমাদের ভারত, সিউড়ি, ৮ ফেব্রুয়ারি: তোলা আদায়ের প্রতিবাদ করায় বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে গৃহবধূকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এলাকা ছেড়ে যাওয়ার সময় ওই পরিবারকে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পরে এলাকার মানুষ ছুটে এলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতারা।ঘটনাটি ঘটছে, বীরভূমের মহম্মদ বাজার থানার গৌউরনগর গ্রামে। ওই গ্রামের বাসিন্দা মেনকা বাগদি প্রথমে গালিগালাজ শুরু করে তৃণমূল নেতা রহিতোস মণ্ডল, মামন মণ্ডল, তীর্থ মণ্ডল, সুকুমার বাগদি, সুপ্রিয় মণ্ডল, বুদ্ধদেব বাগদি।
মেনকার বউমা রিম্পা বাগদি বলেন, “শনিবার সকালে হঠাৎ বাড়ির সামনে এসে অভিযুক্তরা গালিগালাজ শুরু করে। আমরা প্রতিবাদ করায় প্রথমে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে শাশুড়িকে। এরপর শাশুড়ির চুলের মুঠি ধরে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করে। ওরা শাশুড়ির শ্লীলতাহানি করেছে। চুলের মুঠি ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়”।
প্রতিবেশী আশিস বাগদি বলেন, “অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতারা এলাকায় লরি থেকে ডিসিআর-এর নামে তোলা আদায় করে গাড়ি থেকে। আমরা তার প্রতিবাদ করেছিলাম। ফলে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিজেপির ব্লক সভাপতি সন্তোষ ভাণ্ডারি সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এখনও বেশ কয়েকজন গ্রাম ছাড়া। তার মধ্যে এদিন প্রহৃত মেনকা বাগদির স্বামী রয়েছেন। বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকার সুযোগ নিয়ে এদিন তৃণমূল আশ্রিত ওই দুষ্কৃতীরা মেনকার উপর চড়াও হয়। যারা মিথ্যা মামলা করেছিল আমাদের বিরুদ্ধে তারাই এদিন মারধরে নেতৃত্ব দিয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ তাদের এখনও গ্রেফতার করেনি”।
তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “কেউ দোষ করে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা হবে”।