অশোক সেনগুপ্ত
আমাদের ভারত, ৫ ডিসেম্বর: কলকাতা পুরসভার ৮৪ নম্বর ওয়ার্ড পরিবারের থাবা থেকে ছিনিয়ে আনতে দু‘বেলা এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন বিজেপি-র তমসা চট্টোপাধ্যায়। পরিবার মানে তৃণমূল পরিবার এবং অনুপ-পারমিতার চট্টোপাধ্যায় পরিবার।
২৫ বছর এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ছিলেন প্রথমে কংগ্রেস, পরে তৃণমূলের অনুপবাবু। ২০১০-এ তৃণমূল প্রার্থী করে তাঁর স্ত্রী পারমিতাকে। এবার মহিলা সংরক্ষিত এই ওয়ার্ডের পুর-নির্বাচনে হ্যাটট্রিক করার লক্ষে কোমড় বেঁধে নেমেছেন পারমিতা। মূল প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম-এর বীথিকা নাথ আর বিজেপি-র তমসা চট্টোপাধ্যায়।
মনোহরপুকুর, কালীঘাট ও সংলগ্ন অঞ্চল নিয়ে বরো ৯-এর অধীন এই ওয়ার্ড। এর কিছু অংশে অবস্থাপন্নের বাস। ২০১১-র জনগণনা অনুযায়ী লোকসংখ্যা ১৯,২৩০। এবার প্রথম ভোটে প্রার্থী হয়েছে তমসা। বাড়ি মনোহরপুকুরে। পরিবেশ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষিকা।
নবাগতদের বদলে এই ভোটে প্রার্থী করার ব্যাপারে পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব দিয়েছে বিজেপি। তমসা জানান, “কলেজে ভর্তির সময় দেখি শাসক দলের ছাত্র সংগঠন টাকার খেলায় নেমেছে। এই নোংরা রাজনীতি দূর করার অঙ্গীকার করলাম। ২০১৩-তে নাম লেখালাম হিন্দু জাগরণ মঞ্চে। ওই সংগঠনের জেলা বীরাঙ্গণা বাহিনীর প্রমুখ হলাম। এর পর ২০১৬ থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে। এ রাজ্যে পড়াশোনার জগতের অন্ধকার দূর করা দরকার। মানুষের পাশে থাকতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে তাদের নিত্য পরিষেবা।“
এবার ভোটে বিজেপি-র কনিষ্ঠতম প্রার্থী তমসা জেতার ব্যাপারে আশাবাদী। এই প্রতিবেদককে তিনি জানান, “বর্তমান কাউন্সিলার নিস্ক্রিয়। প্রয়োজনে বাসিন্দারা ওনাকে পান না। আগে ওনার খোঁজে টিএমসি-র দলীয় অফিসে যেতে হত লোককে। এখন স্থানীয় একটি বাচ্চাদের পার্কে ওয়ার্ড অফিস বানানো হয়েছে। আশীর্বাদ নিতে যেখানে যাচ্ছি লোকে বলছে পুর-পরিষেবার মানোন্নয়ন দরকার। আমিও আশ্বাস দিচ্ছি। একবার আমাকে সুযোগ দিতে বলছি।“
ওয়ার্ডে ভোটদাতার সংখ্যা ১৫ হাজার ৬৩৮। গত বিধানসভা ভোটের ফলাফলে এই ওয়ার্ডে তৃণমূল এগিয়ে ছিল প্রায় ২ হাজার ভোটে। কিন্তু লোকসভা ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। আর সে কারণে আশায় বুক বেঁধে প্রচার চালাচ্ছেন তমসা।