অন্য জায়গার মৃতদেহ দাহ করা যাবে না শ্মশানে, বিক্ষোভ এলাকায়

আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ২ জুন: করোনা পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে আসা মৃতদেহ এলাকার শ্মশানে দাহ করা যাবে না, শুধুমাত্র এলাকার লোকজনদের দেহই এখানে দাহ করা যাবে, এই দাবি তুলে রাস্তা অবরোধে সামিল হলেন গ্রামের মানুষজন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার অন্তর্গত কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জোড়া মন্দির এলাকায়। দীর্ঘক্ষণ এই ঘটনার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পরে বারুইপুর আমতলা রোড। পরে পুলিশ ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এসে গ্রামবাসীদের দাবি ক্ষতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে ওঠে অবরোধ।

মঙ্গলবার সকালে রাস্তার উপর গাছের ডাল ফেলে, হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে রাস্তা অবরোধে সামিল হন এলাকার বাসিন্দারা। এর জেরে শ্মশানে দাহ করতে আসা মৃতদেহ গাড়িতেই পড়ে থাকে। অবরোধের জেরে মৃতদেহ নিয়ে ফিরে যেতে হয় মৃতের পরিবারের সদস্যদের। ঘটনার জেরে বারুইপুর-আমতলা রোড অবরুদ্ধ হয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় বারুইপুর ট্রাফিক বিভাগের পুলিশরা। একঘন্টা অবরোধ চলার পর ঘটনাস্থলে আসেন কল্যাণপুর পঞ্চায়েতের প্রধান রুকসানা লস্কর। তিনি বলেন, “গ্রামের বাসিন্দারা আবেদন করেছেন শ্মশানে বাইরের কোনও দেহ দাহ করা যেন না হয়। এখানে স্কুল, কলেজ সহ ঘন বসতি আছে তাই তারা আবেদন করেছেন। আমরা কমিটির সাথে কথা বলে শ্মশানে একটা নোটিশ করে দেবো”।

বিক্ষোভকারি গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, “আমাদের দাবি করোনা পরিস্থিতিতে এই শ্মশানে বাইরের কোনও মৃতদেহ দাহ করা যাবে না। শুধুমাত্র কল্যাণপুর ও হরিহরপুর পঞ্চায়েত এলাকার মৃতদেহই দাহ করা যাবে”। এখানে বর্তমানে প্রতিদিন বাইরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ১০-১৫টি মৃতদেহ দাহ করা হচ্ছে। এর জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এলাকার মানুষের দাবি ক্ষতিয়ে দেখে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিতেই উঠে যায় অবরোধ। তাদের দাবি না মানা হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here