জে মাহাতো, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ১৬ জুলাই:
বাঁধের জল থেকে এক পুলিশকর্মীর স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শালবনী থানা এলাকার বিষ্ণুপুর অঞ্চলে। গতকালসন্ধ্যা ৬টার পর নিখোঁজ হয়ে যান বিষ্ণুপুর অঞ্চলের রঘুনাথপুর গ্রামের গৃহবধূ মোনালিসা মাইতি (৩৪)। আজ সকালে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে বড়বাঁধ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত গৃহবধূর স্বামী জয়ন্ত মাইতি মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানার
এএসআই। তাদের একটি ৩ বছরের সন্তান আছে বলে স্থানীয়় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
৪ বছর আগে শালবনির রঘুনাথপুর গ্রামের ওই পুলিশ কর্মীর সঙ্গে বাকুড়া জেলার সারেঙ্গা থানা এলাকার গাটড়া গ্রামের মোনালিসার বিয়েে হয়। আজ সকালে রঘুনাথপুর গ্রাম লাগোয়া বড় বাঁধের জলে তার মৃতদেহ ভাসতে দেখে গ্রামবাসীরা শালবনি থানায় খবর দেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
পুলিশ জানিয়েছে, কি কারণে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি, ঘটনার তদন্ত চলছে। কিন্তু মৃতার বাপের বাড়ির লোকের অভিযোগ, মোনালিসাাকে খুন করে জলে ভাসিয়ে দেওয়াা হয়েছে। মৃতার আত্মীয় বিশ্বনাথ দোলুই বলেন, পারিবারিক অশান্তির কারণে মোনালিসাকে দীর্ঘদিন ধরে মারধর করা হতো বলে গ্রামবাসীরা তাকে জানিয়েছিলেন।
মৃতার স্বামী জয়ন্ত মাইতি বলেন, তার স্ত্রী মানসিক রোগী ছিলেন। আমরা সবাই মেদিনীপুরে থাকতাম। কিছুদিন আগে তাকে গ্রামে রেখে যাই। গতকাল সন্ধ্যে ছটা নাগাদ সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাতে আর ফেরেনি। বহু খোঁজাখুঁজির পরও হদিস পাওয়া যায়নি। তাকে মারধর করার অভিযোগ ঠিক নয়। পুলিশ তদন্ত করার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।