
আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২৫ মে: ফের বোমা উদ্ধার বীরভূমে। এবার রামপুরহাট থানার নারায়ণপুর গ্রামের হাটতলার কাছে কালীভাসা পুকুর পাড়ের ঝোপে। দুটি প্লাস্টিকের জারে বোমাগুলি মজুত ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ খবর পেয়ে এলাকার দখল নেয়। এরপর দুর্গাপুর থেকে বোম্ব স্কোয়াডের বিশেষজ্ঞরা এসে
বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে।
পুলিশ জানিয়েছে দুটি জারে ৩০টি বোমা মজুত রাখা হয়েছিল। কারা ওখানে বোমাগুলি রেখে গেল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বারুদের স্তুপের উপর বীরভূম। একথা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে বিরোধীরা। জেলাজুড়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ বিরোধীদের দাবিকে শিলমোহর দিতে চলেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
২২ মে দুবরাজপুর থানার ঘোড়াপাড়া গ্রামে বোমা বিস্ফোরণে উড়ে যায় এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ি। পরদিন বোমা বিশেষজ্ঞ দল ওই গ্রাম থেকে ১৫টি তাজা বোমা উদ্ধার করে। ২৪মে কাঁকড়তলা থানার সাহাপুর গ্রাম থেকে একইভাবে দুই ঝোলা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরেই রামপুরহাটের নারায়ণপুর গ্রাম। বিরোধীদের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তি সৃষ্টি করতেই বোমা মজুত করা হচ্ছে জেলাজুড়ে।
বিজেপির রামপুরহাট শহর সভাপতি সুরজিত সরকার বলেন, “কেষ্ট এখন তিহার জেলে। কিন্তু তার দলের সদস্যরা এখন সক্রিয়। ফলে জেলার সর্বত্র বোমা উদ্ধার হচ্ছে। তবে পুলিশের বোমা উদ্ধার সম্পূর্ণ সাজানো ঘটনা। পুলিশ পুকুরপাড় থেকে বোমা উদ্ধার করতে পারে। আর কোথায় বোমা উদ্ধার হচ্ছে তার হদিশ করতে পারে না? আমরা মনের করি পুলিশের মদতেই বোমা তৈরি করা হচ্ছে”।
কংগ্রেসের রামপুরহাট শহর সভাপতি সাহাজাদা হোসেন কিনু বলেন, “পুলিশের মদত ছাড়া অপরাধ হতে পারে না। আর বোমা বাঁধা হচ্ছে পুলিশ জানে না এটা তাদের ব্যর্থতা। বোমাগুলি দুষ্কৃতীদের ওই স্থানে রাখতে বলে পুলিশ উদ্ধার করে নিজেদের বাহবা নিতে চাইছে। তদন্ত করলে আসল সত্য বেরিয়ে আসবে”।
তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, “পুলিশের কাজ পুলিশ করছে। বোমা উদ্ধার করা হচ্ছে, এটা তো ভালো কাজ। পুলিশকে বলব আরও বেশি করে তল্লাশি চালিয়ে বোমা উদ্ধার করুন”।