আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ৯ আগস্ট: ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ নৈহাটির বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন বিজেপি কাউন্সিলর গণেশ দাসের গাড়িতে শনিবার গভীর রাতে পর পর বোমাবাজির অভিযোগ। ওই বিজেপি নেতার গাড়িতে অন্তত ১২টি বোমা মারা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। বরাত জোরে প্রাণে বাঁচেন ওই বিজেপি নেতা। বিজেপি নেতা গণেশ দাসের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাকে খুনের চক্রান্ত করছে। তাকে খুনের উদ্দেশ্যেই তার গাড়িতে রাস্তার উপরে পর পর বোমা মারা হয়। মধ্যরাতে এই ঘটনার পর বীজপুর থানার পুলিশ গণেশ দাসের বাড়িতে এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। গোটা ঘটনায় ব্যপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে বীজপুর থানার অন্তর্গত হালিশহর এলাকায়।
ঘটনার সূত্রপাত, শনিবার গভীর রাতে। হালিশহর বালিভাড়া এলাকায় এক বিজেপি কর্মী তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে, এই খবর পেয়ে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীকে দেখতে তার বাড়িতে যান বিজেপি নেতা গণেশ দাস। এরপর আক্রান্ত মানিক দাস নামে বিজেপি কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে গভীর রাতেই গণেশ দাস পৌঁছান বীজপুর থানায়। ওই বিজেপি কর্মী থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পর নিজের গাড়িতেই বীজপুর থানা থেকে হালিশহরের রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন গণেশ বাবু। অভিযোগ, মধ্যরাতে সেই সময় ঘোষপাড়া রোডের উপর বকুলতলা এলাকায় তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে পর পর বোমা ছুড়তে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। বোমার আঘাতে ওই বিজেপি নেতার গাড়িটি কার্যত বিকল হয়ে যায়। গণেশ দাসের দাবি, কোনও রকমে রাতের অন্ধকারে প্রাণ বাঁচান তিনি। গণেশ দাস বলেন, “তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছে। যে কোনও সময় ওরা আমাকে খুন করতে পারে। ওরা আমাকে আমার বাড়িতে ঢুকেও মেরে ফেলতে পারে। আজ আমাকে মারার উদ্দেশ্যেই গাড়িতে অতগুলো বোমা মেরেছে। আমি পুলিশকে ফোন করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু পুলিশ ফোন ধরেনি।”
এদিকে এই ঘটনায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন হালিশহর পুরসভার পৌরপ্রশাসক রাজু সাহানি। তিনি বলেন, “আমি শুনলাম ওই বিজেপি নেতার গাড়িতে কেউ বোমা মেরেছে। বিষয়টা আমি জানি না। উনারা তৃণমূলের নামে বদনাম করার চক্রান্ত করছে। ২৩মের পর এই অঞ্চল কারা অশান্ত করে রেখেছে সেটা সবাই জানে। আর এই ঘটনা কি ঘটেছে প্রশাসন নিশ্চই তদন্ত করে বের করবে। তৃণমূলের কোনও যোগ নেই এই ঘটনায়।”
ঘটনা প্রসঙ্গে নৈহাটির বিধায়ক তৃণমূল নেতা পার্থ ভৌমিক বলেন, “বিজেপি এই এলাকায় গুন্ডাদের নিয়ে রাজনীতি করছে। এভাবে চলতে থাকলে প্রকৃত ভাল মানুষ এই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে রাজনীতি করতে আসবে না। পুলিশ স্বচ্ছতার সঙ্গে সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সত্যতা নিশ্চই সামনে আসবে ।” বীজপুর থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।