পিন্টু কুন্ডু, বালুরঘাট, ২৮ মে: বর্ডার হাটের পরিকল্পনা নিয়ে হিলি সীমান্ত পরিদর্শনে এলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মেজর জেনারেল একেএম নাজমূল হাসান। রবিবার দুপুরে এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো তোড়জোড় পরিস্থিতি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হিলি চেকপোস্টে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের পদস্থ আধিকারিকদের অভ্যর্থনা জানাতে রায়গঞ্জ থেকে ছুটে আসেন বিএসএফের রায়গঞ্জ সেক্টরের ডিআইজি কুলবন্ত শর্মা। যেখানে অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ সেক্টরের কমানডেন্ট বিপিন কুমার, ৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমানডেন্ট কমল ভগত ছাড়াও অনান্য বিএসএফের জওয়ানরা।
এদিন দুপুরে দু’দেশের শূন্যরেখায় একে অপরকে সংবর্ধনা জানায় বিএসএফ ও বিজিবি। এরপরেই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মেজর জেনারেলের সাথে চলে বিএসএফের ডিআইজির দীর্ঘ আলাপ আলোচনা। যেখানে উঠে আসে সীমান্ত সম্পর্কিত একাধিক বিষয়। গরু পাচার থেকে শুরু করে নানা অবৈধ কারবারের বিষয় নিয়ে একে অপরের সাথে আলোচনা সারেন। শুধু তাই নয়, এদিনের আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুই ছিল হিলির হাড়িপুকুর গ্রাম। একেবারে বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা ওই গ্রাম দিয়েই যে রমরমিয়ে চলছে সোনা পাচার থেকে শুরু করে নানা অবৈধ কারবার, তা যেন এদিন স্পষ্ট করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মেজর জেনারেল। যা বন্ধ করবার পাশাপাশি সেই এলাকায় বর্ডার হাটের পরিকল্পনা নিয়েও এদিন অল্প বিস্তর আলোচনা করেছেন বিজিবির মেজর জেনারেল একেএম নাজমূল হাসান। যে আলোচনার পরেই এদিন এলাকা পরিদর্শন করতে হাড়িপুকুর গ্রামে ছুটে গিয়েছেন তিনি। ঘুরে দেখেছেন দু’দেশের সীমানার মাঝে থাকা ওই গ্রামের ভৌগোলিক অবস্থানও। যদিও বিএসএফের তরফে এই বিষয়টিকে রুটিন ভিজিট বলেই দাবি করা হয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মেজর জেনারেল একেএম নাজমূল হাসান বলেন, সীমান্তের অবস্থা খতিয়ে দেখতেই এদিন তিনি হিলিতে আসেন। কথা বলেছেন বিএসএফের সাথেও। দু’ দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে যে সু-সম্পর্ক তা বজায় রাখবার যাবতীয় চেষ্টা তারা অব্যাহত রেখেছেন। একই সাথে হাড়িপুকুর গ্রামকে ঘিরে বর্ডার হাটের যে পরিকল্পনা বিদেশ মন্ত্রকের রয়েছে, এদিন তাও খতিয়ে দেখেছেন।
বিএসএফের রায়গঞ্জ সেক্টরের ডিআইজি কুলবন্ত শর্মা বলেন, রুটিন ভিজিট করতেই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মেজর জেনারেল এসেছিলেন এদিন।