
আমাদের ভারত, ২ ডিসেম্বর: ফের বিতর্কের কেন্দ্র বিন্দুতে উঠে এল দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়। এবার জাতি বৈষম্যের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। জেএনইউ’য়ের ভবনের দেওয়ালে ব্রাহ্মণ ও বৈশ্যবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান লেখা হয়েছে। ব্রাহ্মণ ও বৈশ্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ২ ভবন ভাঙ্গচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
ব্রাহ্মণ ও বৈশ্য বিরোধী স্লোগান লেখা জেএনইউ ভবনের দেওয়ালের ছবি বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। স্লোগান গুলির কোনোটিতে লেখা হয়েছে, “ব্রাহ্মণরা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাও”, “ব্রাহ্মণ ভারত ছাড়ো”, আবার কোনোটিতে হুঁশিয়ারি সুরে লেখা হয়েছে “এখানে রক্ত ঝরবে”, “ব্রাহ্মণ বৈশ্য আমরা তোমাদের জন্য আসছি”, “আমরা গড়ে বেশি রয়েছি”।
কে বা কারা এই স্লোগানগুলি লিখেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ভাঙ্গচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছে আরএসএস’ এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। এবিভিপির জেএনইউ’য়ের “সভাপতি রোহিত কুমার বলেছেন, “এবিভিপি হিংসা ও ভাঙ্গচুরের ঘটনায় ধিক্কার জানাচ্ছে।” তার অভিযোগ, “কমিউনিস্ট গুন্ডারা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ভাঙ্গচুর চালিয়েছে। জেএনইউ’য়ের স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ২ বিল্ডিংয়ের দেওয়ালে অশ্লীল কথা লিখেছে কমিউনিস্টরা।” তাঁর আরও অভিযোগ, “স্বাধীন চিন্তাভাবনার অধ্যাপকদের চেম্বারগুলিও বিকৃত করেছে কমিউনিস্টরা।
এভিবিপি নেতা বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবশ্যই বিতর্ক আলোচনার জন্য ব্যবহার হওয়া উচিত, কিন্তু সমাজ এবং ছাত্র সম্প্রদায়কে বিষাক্ত করার জন্য নয়।”
জেএনইউ’য়ের এক শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ, এই ঘটনার পেছনে বামপন্থীরা রয়েছে। এই ঘটনা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিবৃতিও দিয়েছে। ডিনকে অবিলম্বে ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট জমার নির্দেশ দিয়েছেন জেএনইউ’য়ের উপাচার্য শান্তি শ্রী পন্ডিত। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ভাঙ্গচুর কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
অন্যদিকে এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিনীত জিন্দাল দিল্লি পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈশ্য ও ব্রাহ্মণ সমাজের বিরুদ্ধে হুমকির ঘটনা উত্তরোত্তর বাড়ছে।