আমাদের ভারত, কলকাতা, ৭ জানুয়ারি: প্রমোটিং নিয়ে বিবাদের জেরে বোনের অনুপস্থিতিতে ভগ্নিপতিকে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্যালকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রিজেন্ট পার্কে। তোষকে দেহ মুড়ে বরফে চাপা দিয়ে দেহ লোপাটের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনায় অভিযুক্ত শ্যালককে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রিজেন্ট পার্ক কলোনির বাসিন্দা সমীর রঞ্জন সুর দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। বাড়ি থেকে বিশেষ বেরোতেন না তিনি। তাঁকে বাড়িতে রেখেই পরিচিত বেশ কয়েকজনের সঙ্গে পাঞ্জাবে বেড়াতে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী জয়ন্তী সুর এবং মেয়ে। সেই সময় সমীরবাবুর দেখভাল করছিলেন তাঁর শ্যালক বিশ্বনাথ দাস। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন সমীরবাবু। বিশ্বনাথের দাবি, অসুস্থতার জেরে মারা যান তাঁর ভগ্নিপতি। সমীরবাবুর স্ত্রী এবং মেয়েকে খবর দেন সমীরবাবু। তবে তখনও ওই বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর পাননি তাঁর প্রতিবেশীরা।
এদিকে, আশ্চর্যজনকভাবে রোগী না দেখিয়ে এক হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক এর কাছ থেকে তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট বার করিয়ে নেন বিশ্বনাথ দাস। তাতেই পুলিশের সন্দেহ হয় এবং তাকে আটক করে।
স্থানীয়দের দাবি, প্রমোটিং বিবাদের জেরেই ভগ্নিপতিকে নিজে হাতে খুন করে বিশ্বনাথ। এরপরই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়িতে রাখা ফ্রিজার থেকে উদ্ধার করে বৃদ্ধের দেহ। এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাঞ্জাব থেকে ফিরছেন নিহতের স্ত্রী জয়ন্তী সুর।