“বোনেদের সম্মান রক্ষার দায়িত্ব তাকে ভাইদের, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তা করেননি”, বললেন নদিয়া জেলা তৃণমূল মুখপাত্র বাণী রায়

স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ২৬ জানুয়ারি: নেতাজির জন্ম জয়ন্তীতে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে একই মঞ্চে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বক্তব্য রাখার জন্য অনুরোধ করতেই জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে মুখর হয় গোটা ভিক্টোরিয়া চত্বর। দর্শক আসন থেকে কয়েকজন টানা জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে থাকে। যা শুনে তিনি নেতাজির জন্ম জয়ন্তীতে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে প্রধানমন্ত্রীর সামনে জয় শ্রীরাম বলায় প্রতিবাদ জানিয়ে নেমে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে নদিয়া জেলার মুখপাত্র বাণী রায় বলেন, নেতাজির ১২৫ তম জন্ম জয়ন্তীতে কেন্দ্রীয় সরকার যে অনুষ্ঠান এখানে করেছেন সেখানে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। এটা কেন্দ্রীয় তথ্য সংস্কৃতির পক্ষ থেকে করা হয়েছিল। এটা একটা সরকারি অনুষ্ঠান। এই সরকারি অনুষ্ঠানে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। আর এই অনুষ্ঠানে যাবার পরেই যখন মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু বলার জন্য বলা হল তখনই জয় শ্রীরাম ধ্বনি উঠতে শুরু করল। তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে অপমান করা হল। এটা বাঙালির সৌজন্য নয়। আমরা বাঙ্গালিরা সবসময় অতিথিদের আপ্যায়ন করি। যতই আমার সঙ্গে বিরোধিতা থাক না কেন অতিথিদের যখন আমরা আমন্ত্রণ করব তখন তাদের আপ্যায়ন করবো। এটা আমাদের বাংলার রীতি। কিন্তু বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতি সম্বন্ধে বিজেপি কিছু জানে না মুখ্যমন্ত্রী বারবার এই কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, এছাড়াও একটা অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ্য করলাম যেখানে কার্ড ছাড়া কেউ ঢুকতে পারে না সেখানে কার্ড দেওয়া হয়েছে কাদের কে? এমন কিছু মানুষকে কার্ড দেওয়া হয়েছে যা পূর্বপরিকল্পিত। কারণ পরিকল্পনা ছাড়া এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হয় না। এছাড়া এখানে প্রত্যেকটি সাংসদ ও কার্যকর্তা যারা কার্ড বিলি করেছেন তাদেরকে প্রত্যেককে ৩০০ থেকে ৪০০ কার্ড দেওয়া হয়েছে। এর ফলে তারা তাদের মত দলের লোককে ঢুকিয়ে নিয়েছে। সেই জন্য এই রকম অবস্থা তৈরি হয়েছে। এই রকম অবস্থার মধ্যে যারা এদের কন্ট্রোল করছে তারা সবই বিজেপির লোক যারা এই অনুষ্ঠানকে একটা দলীয় মিটিং এ পরিণত করেছিল। প্রতিবাদ স্বরূপ আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কোনও ভাষণ না দিয়ে প্রতিবাদ করে সেখান থেকে নেমে যান। এরপর প্রধানমন্ত্রী যখন মঞ্চে ভাষণ দিতে ওঠেন তখন তিনি বোন বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সম্বোধন করেন। কিন্তু বোনদের মান সম্মান রক্ষা করার দায়িত্বও ভাইদের থাকে যা তিনি করেননি।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here