স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ১০ জুন: একদিকে যাত্রী নেই তার মধ্যে আবার টোল ট্যাক্স, এরকম চলতে থাকলে বাস চালানো যাবে না বলে জানালেন উত্তর দিনাজপুর বাস মিনিবাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্লাবন প্রামানিক।
সরকারি নির্দেশ মেনে চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে জেলায় বাস চলাচল শুরু করেছে বাস মালিকরা। কিন্তু বাস চালাতে গিয়ে চরম ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে বাস মালিকদের। রায়গঞ্জ থেকে বালুরঘাট, মালদা, শিলিগুড়ি সহ রায়গঞ্জ-বিন্দল, রায়গঞ্জ-ভাটোল, রায়গঞ্জ-ইটাহার, রায়গঞ্জ-চুড়ামন এসব রুটে বাস চলাচল শুরু করেন বাস মালিকরা। কিন্তু দিনের শেষ দেখা যাচ্ছে প্রতিটি গাড়িতে প্রায় ২৫০০-৩০০০ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হচ্ছে।
রায়গঞ্জ থেকে শিলিগুড়ি যেতে ৬০০০ হাজার টাকার তেল, টোল টেক্স ৯০০ টাকা, চেন ফ্রি ৩০০ টাকা ও তিনজন কর্মীর বেতন ১৫০০ টাকা করে খরচ হচ্ছে। দিন গেলে শিলিগুড়ি রুট থেকে ৪৫০০-৫০০০ টাকা রোজগার হচ্ছে। এতে করে শিলিগুড়ি রুটে বাস চালাতে গিয়ে ৩৭০০-৪২০০ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। রায়গঞ্জ থেকে মালদা যেতে ৫০০০ টাকার তেল, টোল ট্যাক্স ৬৮০ টাকা, চেন ফ্রি ৩০০ টাকা ও তিনজন কর্মীর বেতন ১৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে। দিনের শেষ বাস কর্মীরা যখন মালিককে টাকা দিচ্ছে ৫০০০-৫৫০০ হাজার টাকা। এতে করে মালদা রুটে বাস চালাতে গিয়ে ১৯৮০-২৪৮০ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। আবার রায়গঞ্জ থেকে বালুরঘাট যেতে তেল লাগছে ৪০০০ হাজার টাকা, চেন ফ্রি ৩০০ টাকা ও তিনজন কর্মীর বেতন ১৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে এই রুটে বাস চালাতে। বালুরঘাট থেকে দিনের শেষ মালিকের হাতে ৫০০০ টাকা তুলে দিচ্ছেন কর্মীরা। তাতে করে এই রুটেও বাস চালাতে প্রায় ৮০০ টাকার মতো ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে বাস মালিকদের। এমতাবস্থায় এইভাবে চলতে থাকলে আগামীতে বাস চালানো যাবে না বলে শাফ জানিয়ে দিয়েছেন উত্তর দিনাজপুর বাস মিনিবাস ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্লাবন প্রামানিক।
তিনি আরও বলেন, ডালখোলা জ্যামের জন্য শিলিগুড়ি রুটে বাস চলাচল একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লোকাল রুটে বাস চালাতে গিয়েও ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। এবিষয়ে জেলা শাসক ও আরটিও’কে মেলের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। এইভাবে বাস চালানো যাবে না। একদিকে যাত্রী নেই তার মধ্যে টোল ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। ফলে মালিকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গাড়ি চালাতে গিয়ে। ভাড়া না বাড়ালে কতদিন এভাবে গাড়ি চালাতে পারবো তা বলা যাচ্ছে না। সব রুটেই বাস চালাতে গিয়ে ক্ষতি মুখে পড়তে হচ্ছে বলে জানান প্লাবনবাবু।