সোমবার থেকে গ্রিন জোনে চালু হচ্ছে বাস, গ্রিন-অরেঞ্জ জোনে খুলবে দোকান!

রাজেন রায়, কলকাতা, ২৯ এপ্রিল: লকডাউনে মাসখানেক ধরে বেকার গণপরিবহণের শ্রমিকরা। একই সঙ্গে বেকার প্রচুর ছোট ব্যবসায়ীরাও। এই অবস্থাতে মুখ্যমন্ত্রীর উপলব্ধি, যেসব জায়গাতে করোনা সংক্রমণ নেই বা খুব কম, সেখানে মানুষকে আটকে রাখার কোনও মানে হয় না। তাই রাজ্যের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছেন,পশ্চিমবঙ্গে গ্রিন জোনে সোমবার থেকে বাস চলবে। গ্রিন এবং অরেঞ্জ জোনে খোলা হবে কিছু দোকানও।

তাই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গ্রিন জোন ও অরেঞ্জ জোনে হিসাব করে দোকান খোলার অনুমতি দেবে সরকার। কোন দোকান খোলা যাবে, কোন দোকান যাবে না তা সমীক্ষা করে দেখবে স্থানীয় থানা। কারখানা ও নির্মাণ কাজ সবই করতে হবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের নিয়ম মেনে। সোমবার থেকে গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে পুলিশের অনুমতি নিয়ে ছোট দোকান খোলা যাবে। শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত দোকান বা বাজারের মধ্যে দোকান খোলা যাবে না। সমস্ত দোকানে হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করতে হবে। খোলা যাবে ইলেক্ট্রনিক্স, স্টেশনারি, বই, মোবাইল, ব্যাটারি, হার্ডঅয়্যার, লন্ড্রি, চা পানের দোকান ও রেস্টুরেন্ট। সব ক্ষেত্রে হোম ডেলিভারি বাধ্যতামূলক। চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দেওয়া নিষিদ্ধ। ফুটপাথের দোকান এখনই খোলা যাবে না। কনটেনমেন্ট এলাকায় টোটাল লকডাউন জারি থাকবে।

সঙ্গে শর্তসাপেক্ষে কিছু নির্মাণকাজ শুরু করা যাবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে মাস্ক পরে ও সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের শর্ত মেনে সমস্ত কাজ করতে হবে। অনুমতির অপব্যবহার করলে কড়া পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের গ্রিন জোন জেলাগুলিতে চলবে বেসরকারি বাস। তবে সেই বাস জেলার বাইরে বেরনো যাবে না। বাসে সর্বোচ্চ ২০ জন যাত্রী যেতে পারবে। এজন্য জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর থেকে অনুমতি নিতে হবে। তবে গ্রিন জোনের মত অরেঞ্জ জোনে দোকান খুললেও অরেঞ্জ জোনে বাস চলাচলের অনুমতি এখনই দেওয়া হচ্ছে না। শুধুমাত্র গ্রিন জোনেই বাস চলাচল করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *