শহিদ সমাবেশে যোগদানে বুধবার থেকেই বাস উধাও, বাঁকুড়ায় ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২০ জুলাই: তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ জুলাই কলকাতায় শহিদ সমাবেশে যোগদানের জন্য কর্মীদের যাতায়াতে জেলার প্রায় সমস্ত বাস তুলে নেওয়ায় সমাবেশের একদিন আগেই জেলার পরিবহন ব্যবস্হা কার্যত ভেঙে পড়েছে। সকালের দিকে যদিও বা কিছু বাসের দেখা মিললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব উধাও। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ যাত্রী থেকে নিত্যযাত্রীরা। যাত্রী পরিষেবা কার্যত লাটে ওঠায় তারা জেলা প্রশাসনের উপর চটে লাল। সমাবেশ, মিটিং, মিছিলের নামে যখন তখন এভাবে বাস তুলে নেওয়ার এই রেওয়াজ তারা মেনে নিতে পারছেন না। তাদের প্রশ্ন যাত্রী পরিবহনের জন্য নির্দিষ্ট বাস কেন তুলে নেওয়া হবে? জেলা প্রশাসন কি করছে? কি আইনানুগ ব্যবস্হা নেওয়া হয়? না শাসকদল বলে আইনের ঊর্ধ্বে? এরকম হাজার প্রশ্ন উঠছে।

বড়জোড়ার ফুলবেড়িয়া থেকে বাঁকুড়া শহরে ব্যবসায়িক কাজে প্রতিদিন আসতে হয় দেবু দাস’কে। তিনি বলেন, সকালে আসতেই সমস্যা। উপায়ও নেই আসতে বাধ্য, বেসরকারি ফার্মে কাজ, এখন বাড়ি ফিরবো কি ভাবে সেটাই চিন্তার।পারিবারিক কাজে এসে সপরিবারে বাসের অপেক্ষায় থাকা মানবাজার মলিয়ানের সুবোধ কর্মকার বলেন, বেলা গড়িয়ে বারোটা পার হতে চললো বাসের দেখা নেই। কি করবো? বাঁকুড়া বাসস্ট্যান্ডে এক বাসকর্মী জানান, আজ সকালের দিকে যদিও বা কিছু কিছু বাস চলাচল করছে, বিকেলের দিকে আর কিছুই মিলবে না, সব কলকাতা যাবে।

বাস চলাচল কমে যাওয়ায় বাঁকুড়ার প্রধান বাসস্ট্যান্ড গোবিন্দনগর ছাড়াও কেরানীবাধ, ধলডাঙ্গা ফাঁকা শুনশান। প্রভাব পড়েছে বাজারেও। জেলার পরিবহন ব্যবস্হা ভেঙে পড়েছে। বাঁকুড়া জেলা পরিষদের মেন্টর তথা জেলা তৃণমূল নেতা বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী বলেন, পরিবহন ব্যবস্হা সচল রয়েছ। বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দুই সাংগঠনিক জেলা থেকে মোট ৬০০বাস নেওয়া হয়েছে কর্মীদের সমাবেশে যাওয়ার জন্য। এছাড়াও আজ দুপুর থেকেই ট্রেন ও ছোট গাড়িতে করে রওনা দেবে অনেকেই। অর্থাৎ বাঁকুড়া থেকে শহিদ সমাবেশে ভালো সংখ্যক মানুষ উপস্হিত হবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *