সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১১ সেপ্টেম্বর: পুজোর বাজার জমে ওঠার আগেই নিম্নচাপ ও তার জেরে বৃষ্টিতে আশঙ্কিত ব্যবসায়ী, মৃৎশিল্পী থেকে পুজোর উদ্যোক্তারা। পুজোর আর মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি। তবুও বাজার তেমন জমে ওঠেনি। করোনা ও লকডাউনে বিপর্যস্ত অর্থনৈতিক অবস্থা। সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ দিশেহারা। তার উপর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। সংসার সামাল দেওয়া যেখানে দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে পুজোর জামা কাপড় কেনাকাটা হবে কি ভাবে? যার কারণেই বাজারে ক্রেতাদের ভিড় কম, কেনাকাটা চলছে ঢিমেতালে। এমনই অভিমত ব্যবসায়ী থেকে অভিজ্ঞ মহলের। এই পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাষ নিম্নচাপ ও বৃষ্টির। আজ রবিবার দুপুরেই শুরু হয়ে যায় বৃষ্টি। সকাল থেকে খদ্দেরের আনাগোনা শুরু হয়ে যায়, কেনাকাটার ভিড়ও হয় কিন্তু তারপরেই বৃষ্টি শুরু হতেই প্রমাদ গোনেন তারা। বাঁকুড়া শহরের বড়বাজার, রাণীগঞ্জ মোড়, মাচানতলা, মিনি মার্কেট সহ সর্বত্রই একই পরিস্থিতি।
বড় বাজারের কাপড়ের দোকানদার কানাই দত্ত, মিনি মার্কেটে সাধন দাসদের বক্তব্য মালপত্র তো পর্যাপ্ত আনা হয়েছে, কেনাকাটা কি হবে অনিশ্চিত, এবার পরিস্থিতি এমনিতেই খারাপ তার উপর বৃষ্টি সব মাটি করে দেবে।
বৃষ্টির কারণে আশঙ্কিত মৃৎশিল্পীরা। প্রতিমাতে মাটির প্রলেপ কবেই শুরু হয়েছে, এবার একটু শুকিয়ে গেলেই ফের আর একবার মাটির প্রলেপ দিতে হবে, এই সময়েই বৃষ্টি আমাদের বেকায়দায় ফেলবে। রামপুর মনোহরতলা নিবাসী মৃৎশিল্পী শ্রীকান্ত সূত্রধর বলেন, বৃষ্টি মনে হচ্ছে আমাদের কাঁদিয়ে ছাড়বে। আটটি প্রতিমা অর্ডার নেওয়া হয়েছে। কি ভাবে সামাল দেব সেটাই চিন্তার। চিন্তায় পড়েছেন পুজোর উদ্যেক্তারা। শহরে লালবাজার, কমরার মাঠে, হরেশ্বরমেলা ইন্দারাগোরা, দশেরবাধ, ষ্টেশন রোড, পোয়াবাগান, কেন্দুয়াডিহি, নূতনচটি প্রভৃতি এলাকায় বিগ বাজেটের পুজো। প্যান্ডেলের কাজও শুরু হয়েছে, বাদ সেধেছে বৃষ্টি।এই সময়ের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হবে কিনা তা নিয়ে ধন্ধে রয়েছেন পুজোর উদ্যেক্তারা।