অমরজিৎ দে, ঝাড়গ্রাম, ১৩ সেপ্টেম্বর:
নির্বাচন কমিশন কার্যত রাজ্য সরকারের কথায় এই উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে। ঝাড়গ্ৰাম জেলা বিজেপি কার্যালয়ে কর্মী বৈঠকে এসে সংবাদমাধ্যমকে বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি তিনি বলেন, এবার ভোটের ইস্যু সীমাহীন সন্ত্রাস, লাগাম ছাড়া বেকারত্ব।
ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের স্লোগান বেঁধে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। গতকালই পূর্ব মেদিনীপুরে তিনি বলেছেন, বেকারত্ব ঘরে ঘরে, মমতা হারবে ভবানীপুরে। এবার নির্বাচনী ইস্যুও বেঁধে দিলেন। তিনি বলেন, এবার ভোটের ইস্যু, সীমাহীন সন্ত্রাস এবং লাগামছাড়া বেকারত্ব। গতকাল সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রামে তিনি বলেন, ভোটের পর রাজ্যজুড়ে লাগামছাড়া সন্ত্রাস করেছে শাসক দল। সেই সন্ত্রাসই এবারের নির্বাচনের ইস্যু। এছাড়া সারা রাজ্যে ঘরে ঘরে এখন বেকার। চাকরি নেই তাই। লাগামছাড়া সন্ত্রাস এবং বেকারত্ব এই উপনির্বাচনের মূল ইস্যু বিজেপির।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “কোভিড পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন কার্যত রাজ্য সরকারের কথায় এই উপনির্বাচন ঘোষণা করেছে।” প্রচারের অসুবিধার কথা তুলে ধরে বলেন, “কোভিড বিধি মেনে এত কম সময়ে সমস্ত ভোটারের কাছে পৌছানো অসম্ভব। তবু ভারতীয় জনতা পার্টি সংবিধানিক ব্যাবস্থাকে সম্মান করে তাই আমরা এই নির্বাচন লড়ব।” তিনি বলেন, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে ধরলে হবে না। কারন, সেই সময় বেশ কিছু তৃণমূল পন্থী সংবাদমাধ্যম, করোনায় লোক মরছে, গঙ্গায় লাশ ভাসছে– এসব বলে ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছিল। বহু সাধারন মানুষকে ভোট দানে বিরত করেছিল। এবার সেই পরিস্থিতি নেই। তাছাড়া নির্বাচনের পর রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস, খুন এবং অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করছে। গত ভোটের সময় মাননীয়া ঘোষনা করেছিলেন, দু’দিন পর সিআরপিএফ চলে যাবে, তখন খেলা হবে। ভোটের পর তার কর্মীরা সেই খেলা দেখিয়েছে। সেই খেলা পশ্চিম বঙ্গের লজ্জা। লাগামহীন সন্ত্রাসের কারণে উত্তর বঙ্গের লোকেরা অসমে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। অসম সরকার পীড়িতদের আশ্রয় দিয়েছে। তাই এবার ভোটের ইস্যু নির্বাচন পরবর্তী সীমাহীন সন্ত্রাস এবং লাগাম ছাড়া বেকারত্ব–এই দুটো।