আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৮ মার্চ : গত ২৪ তারিখ হঠাৎ করে সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এই লকডাউনের ফলে বন্ধ পানের বাজার, বন্ধ রপ্তানি। তাই গাছেই নষ্ট হচ্ছে বহু মূল্যের পান। সমস্যায় পানচাষি ও ব্যবসায়ী।
পূর্ব মেদিনীপুরের সবথেকে অর্থকরী ফসল পান। বহু টাকার পান রপ্তানি হয় এই জেলা থেকে। জেলার উৎপাদিত পানের সিংহভাগ রপ্তানী হয় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। দেশের বাইরে নেপালে ভুটানেও যায় প্রচুর পান। ট্রাক ছাড়াও ট্রেনে করে পান যায় প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। লকডাউনের ফলে রপ্তানি তো দূরের কথা বাজারেই বিক্রি হচ্ছে না পান।
পানের বাজারের সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ পানের দোকানও। ফলে গাছেই নষ্ট হচ্ছে পান পাতা। পানের পাতা তুলে বিক্রি করা যাচ্ছে না উলটে গাছের যত্ন করতে গিয়ে খরচ হচ্ছে টাকা। ফলে সমস্যায় আছেন চাষিরা।
সরকারি সাহায্য ছাড়া এই চাষে আবার ঘুরে দাঁড়ানো খুব মুশকিল। তমলুকের এক পানচাষির দীর্ঘ সময় বাজার বন্ধ থাকায় সংসার চালানোই মুস্কিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তারপর আবার পান গাছের পরিচর্যা অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
শুধু পানচাষি নয় পানের সঙ্গে জড়িত বহু ব্যবসায়ী এবং বহু শ্রমিক সমস্যায়। বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারাও। পান মূলত পাঠানো হয় বিভিন্ন রাজ্যে। পানের ওপর বিধি-নিষেধ উঠে গেলেও পান দোকান খোলা বা পাঠানোর ব্যবস্থা না হলে পান কেনাবেচা হবে না। তারপরে আছে করোনার আতঙ্ক। থুথু ফেলাতে বারণ করা হচ্ছে বলে মানুষজন এখন পান খেতেও চাইবেন না। রোগের আতঙ্কে অনেকেই হয়তো কাজে যোগ দেবে না। ফলে সব মিলিয়ে একটা বিরাট অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে জেলার পান চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
পানের উপর নিষেধাজ্ঞা উঠলেও পানের বাজার স্বাভাবিক হতে এখনো বহু সময় লাগবে। ক্ষতির দশা কাটিয়ে কবে আবার বাজার ঘুরে দাঁড়াবে সব আগের অবস্থায় ফিরবে সেটা সময়ই বলবে।