
নীল বনিক, আমাদের ভারত, কলকাতা, ২ জুন: বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের ত্রাণ বিলির অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত কোভিড-নির্দেশিকা মেনে ত্রাণ বিলির নির্দেশ দিয়েছে।
সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টে জানান, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে করোনা মোকাবিলায় ত্রাণ বিলিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাঁকে বারবার হেনস্থা করছে পুলিশ-প্রশাসন। এই অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। সেই মামলার শুনানি হয় এদিন। রাজ্য সরকার ও সুকান্ত মজুমদারের আইনজীবীর কথা শুনে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ত্রাণ বিলির নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেই এই মামলার শুনানি হয়। তাতে শেষ পর্যন্ত আইনি লড়াইয়ে জয় পেলেন বালুরঘাটের সাংসদ।
এ ব্যাপারে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমাকে বার বার বাধা দেওয়া হচ্ছিল। শুধু আমাকেই নয়, বিজেপির বিভিন্ন সাংসদকে বার বার বাধা দেওয়া হচ্ছিল। সে ব্যাপারেই আমি হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়ে ছিলাম। আদালতের এই রায়কে তিনি নৈতিক জয় বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এই রায়ে প্রমাণ করলো আমরা ঠিক পথে ছিলাম কিন্তু রাজ্য বা জেলা প্রশাসন ভুল পথে ছিল। কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য প্রশাসনের গালে সজোরে একটি থাপ্পড় দিল। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে যেটুকু গণতন্ত্র বেঁচে আছে তা এই বিচার ব্যবস্থার জন্যই বেঁচে আছে, না হলে পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই।
প্রসঙ্গত, করোনার ত্রাণ দিতে যাবার সময় পুলিশ তার ত্রাণ বিলিতে বাধা দিয়েছে। শুধু সুকান্ত মজুমদার নয়, ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং, হুগলীর সাংসদ লকেট চ্যাটার্জিকেও ত্রাণ বিলিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। আর কলকাতা হাইকোর্টের এদিনের রায়ে স্বভাতই অক্সিজেন পেলেন বিজেপি সাংসদরা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের রায়কে সামনে রেখে বিজেপি সাংসদরা ফের রাস্তায় নেমে ত্রাণের কাজে এগিয়ে আসবেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের।