আমাদের ভারত, ১১ জানুয়ারি:প্রায় প্রতিদিনই করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী আর তার মধ্যে আগামী ২২ জানুয়ারি আসানসোল, শিলিগুড়ি, চন্দননগর, বিধাননগর পুরনিগমের ভোট। রাজের এই চার পৌরসভায় কোথায় কত করোনা সংক্রমণ হয়েছে? কতগুলি কনটেইনমেন্ট জোন রয়েছে? সে বিষয়ে মঙ্গলবার রাজ্যের কাছে তথ্য চাইলে কলকাতা হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে এই পরিস্থিতিতে কিভাবে ভোট করানো সম্ভব তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে জবাব দিতে বলেছে হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
রাজ্যের ৪ পৌরসভা ভোট পেছানোর আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছেন সমাজকর্মী বিমল ভট্টাচার্য। তার জেরেই এই শুনানি। বিমলের ভট্টাচার্যের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য শুনানিতে জানান, রাজ্যের এই ৪ পুরসভার মেয়াদ আগেই শেষ হয়েছে। রাজ্য সরকার নিযুক্ত প্রশাসকেরা কাজ চালাচ্ছেন। ফলে এখন ভোট না হলে সাংবিধানিক সংকটের প্রশ্ন নেই।
হাইকোর্ট সম্প্রতি রাজ্যের কথায় সায় দিয়ে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজনের ছাড়পত্র দিয়েছে। আর এক মামলাকারীর আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিথি নক্ষত্র ধরে নির্ঘণ্ট ও মেনে সাগর মেলার আয়োজন করতে হয়। পুরভোটের ক্ষেত্রে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তাছাড়া সাগর মেলার আয়োজনের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কঠোরভাবে কোভিড বিধি মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু পুরভোটের প্রচারের ক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক দলই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কমিটি সংক্রান্ত নির্দেশিকা মেনে চলছে না। ফলে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ভোট, ভোট প্রচার এবং সভা হলে সংক্রমণ বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।