জে মাহাতো, মেদিনীপুর, ১০ আগস্ট: প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে উদযাপিত হলো ভারতছাড়ো আন্দোলনের সূচনা দিবস। অখণ্ড জেলার ঐতিহ্যবাহী সংগঠন মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থার উদ্যোগে রবিবার ৯ আগস্ট ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ৭৯ তম দিবস পালন করা হলো ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমেl সভার শুরুতে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশিত হয়। স্বাগত ভাষণের মাধ্যমে “ভারত ছাড়ো” আন্দোলনের তাৎপর্য বর্ননা করেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক রতিকান্ত মালাকার।
ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ৭৫ তম বর্ষে
সমন্বয় সংস্থার উদ্যোগে কলকাতায় মেদিনীপুর ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর ও ২০১৭ সালে ১৬ ডিসেম্বর মেদিনীপুর ভবনের উদ্বোধন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রণবেশ জানাl মেদিনীপুরে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের প্রাক পর্ব ও নেতাজির ভূমিকা নিয়ে বক্তব্য রাখেন সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক অমিত কুমার সাহুl গান্ধীজির ডাকে অখণ্ড মেদিনীপুরের উত্তাল আন্দোলন নিয়ে বক্তব্য রাখেন খেজুরি, কাঁথি, কলকাতা দক্ষিণ, মেদিনীপুর, তমলুক, সল্টলেক, নন্দীগ্রাম, সাঁতরাগাছি, হাওড়া আঞ্চলিক ইউনিট এর নেতৃবৃন্দl
এছাড়া সভাতে অংশগ্রগণ করেন অধ্যাপক নির্মল মাইতি, অধ্যাপক কৃষ্ণপদ দাস, চঞ্চল সাহু, প্রযুক্তিবিদ সুবল বর ( মুম্বাই ) সহ অখণ্ড জেলা- রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মেদিনীপুর প্রেমীরাl
সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সল্টলেক আঞ্চলিক ইউনিটের সম্পাদক অধ্যাপক শ্যামাপদ জানা।
উল্লেখ্য মেদিনীপুর সমন্বয় সংস্থা দেশ বিদেশে ছাড়িয়ে থাকা মেদিনীপুরবাসীকে একত্রিত করার কাজ জন্ম-লগ্ন থেকে করে চলেছেl উল্লেখযোগ্য কাজ হলো প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে বর্ণপরিচয় পুনরায় চালু করতে ২০১১ সাল থেকে প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর করে চলেছে এবং আনন্দের কথা বিদ্যাসাগরের ২০০ তম জন্মদিবসে পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠ্য সূচিতে অন্তর্ভুক্ত করেছেনl
এছাড়া সংস্থার উল্লেখযোগ্য কাজ হলো স্বাধীনতার ৭১ বছর পরে কলকাতায় মেদিনীপুর ভবন গড়েতোলা ও বিদ্যাসাগরের নামে নূন্যতম খরচে সর্বসাধারণের জন্যে অতিথি নিবাস চালু করা।
মেদিনীপুরের, বাংলার ও ভারতের স্মরণীয়-বরণীয় মনীষীদের নিয়ে তিনটি মূল্যবান পুস্তক রচনা, মনীষীদের জন্ম মৃত্যু দিবস পালন এবং ধারাবাহিক ভাবে অখণ্ড জেলার বিভিন্ন মানবিক ও সমাজিক কাজ সম্পাদন করা।