পুরুলিয়ায় স্কুলের রান্না ঘরে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, লিপিবদ্ধ হল পড়ুয়াদের পুষ্টি, স্বাস্থ্য, ওজন

সাথী দাস, পুরুলিয়া, ৪ ফেব্রুয়ারি: খিচুড়ি, চাটনি খেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেন মিড ডে মিল পরিদর্শনে আসা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। শনিবার জেলায় এসে দুটি ব্লকের ৭ টি স্কুল ঘুরে মিড ডে মিলের মান, পরিকাঠামো খতিয়ে দেখলেন জয়েন্ট রিভিউ মিশনের প্রতিনিধি দল। যাচাই করলেন পড়ুয়াদের পুষ্টি, স্বাস্থ্য, ওজন।

এদিন সকাল এগারোটা নাগাদ কলকাতা থেকে সড়কপথে আসানসোল হয়ে ডিসেরগড় ঘাটে এসে পৌছায় কেন্দ্রীয় দল। প্রতিনিধি দলকে জেলায় স্বাগত জানান জেলা প্রশাসনের আধিকারিক ও জেলা শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। সাড়ে এগারোটা নাগাদ প্রতিনিধি দল জেলায় ঢুকে দুটি দলে ভাগ হয়ে যান। একটি দল চলে যান নেতুড়িয়া ব্লকের উদ্দেশে এবং আরেকটি দল চলে যান রঘুনাথপুর -১ ব্লকের উদ্দেশে।

নেতুড়িয়া ব্লকের পরিদর্শন দলের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির সাথে ছিলেন নেতুড়িয়া বিডিও, নেতুড়িয়া চক্রের স্কুল ইন্সপেক্টর সাহেব জানা, নেতুড়িয়া নতুন চক্রের স্কুল ইন্সপেক্টর জয়দীপ রাউথ, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রশান্ত মুখার্জি সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা। এই দলটি নেতুড়িয়া ব্লকের কুঠিবাড়ি প্রাথমিক, নেতুড়িয়া প্রাথমিক, বড়তোড়িয়া হাই স্কুল এবং বিন্দুডি প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শন করেন। বড়তোড়িয়া হাইস্কেল মিড ডে মিল খেয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা।

রঘুনাথপুর ব্লকের রঘুনাথপুর বাবুগ্রাম হাই স্কুল, সাকা হাই স্কুল পরিদর্শন করে অপর দলটি। রঘুনাথপুরের পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির সাথে অতিরিক্ত জেলাশাসক(উন্নয়ন) প্রণব কুমার ঘোষ, জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক গৌতম চন্দ্র মাল, রঘুনাথপুর-৩ চক্রের স্কুল ইন্সপেক্টর সুবীর কর্মকার প্রমুখ। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ব্লকের রঘুনাথপুর উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয় এবং নিতুরিয়া ব্লকের কুঠিবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌঁছায় দলটি। সেখানে গিয়েই ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলেন দলের সদস্যরা। পাশাপাশি মিড ডে মিলের রান্নার স্থান, রান্নার মান, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা খতিয়ে দেখেন প্রতিনিধি দল।

পুরুলিয়া জেলার রঘুনাথপুর উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করে দলটি। মিড ডে মিল রান্না করা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সেখানকার রান্নার দায়িত্বে থাকা খেন্তা রজক বলেন, “ওঁরা চাটনি, খিচুড়ি খেয়ে প্রশংসা করেছেন। ডালের, সবজির পরিমাণ কত দেওয়া হয় তার খোঁজ নিচ্ছিলেন। সবে মিলিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তাঁরা।” অসঙ্গতি তেমন কিছু ধরা পড়েনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *