সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ৬ এপ্রিল:লকডাউনের মধ্যেই ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে পাল্টে যাচ্ছে আবহাওয়া। ইতিমধ্যে অনেকেই এসি বসানোর জন্য সিইএসসিতে আবেদন করেছেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে বাড়ি ঘুরে ঘুরে মিটার খতিয়ে দেখে অনুমতি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না সিইএসসি কর্মীদের। কিন্তু তার জন্য যাতে গ্রাহকদের কষ্ট না বেড়ে যায়, তার জন্য ‘প্লাগ অ্যান্ড প্লে’ সিস্টেম চালু করল সিইএসসি।
প্রসঙ্গত, গরম বাড়তে থাকলেও গত বছরের তুলনায় এ বছরে এখনও পর্যন্ত এসি বসানোর আবেদন কিছুটা কম জমা পড়েছে। সাধারণত মার্চ এপ্রিলেই এই সমস্ত আবেদন জমা পড়ে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এবারে খুব বেশি মানুষ আবেদন করে উঠতে পারেননি।
সিইএসসি সূত্রে খবর, গত বছরের ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাস মিলিয়ে এসি বসানোর জন্য আবেদন জমা পড়েছিল ৮,৩৪১টি। এবছর ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে এসি বসানোর জন্য আবেদন এসেছে ৭,৫১৩টি। কোম্পানির এক কর্তা বলেন, গত বছরের মতো এবারও আবেদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। মিটারের ক্ষমতা লোড বৃদ্ধির উপযুক্ত থাকলে সঙ্গে সঙ্গেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাকিদের ক্ষেত্রে মিটারের ক্ষমতা বাড়িয়ে এসি বসানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, লকডাউন পর্বে এসি বসানোর জন্য মানুষজনকে যাতে এতটুকু সমস্যায় না পড়তে হয়, তার জন্য এসি বসানোর ক্ষেত্রে একটি নতুন পরিকল্পনা করেছে সিইএসসি। বিষয়টির নাম ’প্লাগ অ্যান্ড প্লে’। এক আধিকারিক বলেন, যাঁদের মিটার ৬০ অ্যাম্পিয়ারের, তাঁরা অনুমোদন ছাড়াই দেড় টনের তিনটি এসি বসাতে পারবেন। আবার যেসব মিটারের ক্ষমতা ২০ অ্যাম্পিয়ার, তাঁরা একটি দেড় টনের এসি বসাতে পারবেন অনুমোদন ছাড়াই। আপাতত লকডাউন চলাকালীন এইভাবে গ্রাহকরা এসি বসাতে পারবেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে তা খতিয়ে দেখা হবে এবং দরকার হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, এপ্রিল মাসের শেষের দিকে বা মে-জুন মাসে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বাধিক বৃদ্ধি পেলেও বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো ঘাটতি হবে না। এই মুহূর্তে কয়লার যোগান সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে সরবরাহেও কোনও সমস্যা হবে না।’