
আমাদের ভারত, ২৪ জুন: ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করাই কি চিনের একমাত্র উদ্দেশ্য? গোটা পৃথিবী যখন করোনা মোকাবিলায় ব্যস্ত, সেই সময় নিজের মানচিত্রে এলাকা বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিন। নেপালেও চিনের জমি দখল করার খবর সামনে আসতেই এই প্রশ্নগুলো তুলতে শুরু করেছেন ওয়াকিবহাল মহল।
নেপালের কৃষি মন্ত্রকের তরফে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকা ১১টি স্থানের উল্লেখ রয়েছে। যেখানে দেখা গেছে চিন নেপালের প্রায় ৩৩ হেক্টর জমি নিজের দখল করে নিয়েছে। সেই দখল করা জমিতে আউটপোস্ট তৈরির প্রক্রিয়া চালাচ্ছে চিন। আর খুব স্বাভাবিক ভাবেই এরফলে চিনের মানচিত্রের পরিধি বেড়েছে।
এর মধ্যে ১০ হেক্টর জমি দখল করা হয়েছে হুমলা জেলায়। যেখানে চিনা নির্মাণের ফলে বাগদারে খোলা নদীর গতিপথ পাল্টে গেছে। এছাড়া রাসুয়া জেলার একাধিক নদীর গতিপথ পাল্টে দিয়ে চিন ৬ হেক্টর জমি দখল করেছে।
সিন্ধুপালচক জেলার ১১ হেক্টর জমি খারানে খোলা ও ভোতেখোশি নদীর স্বাভাবিক সীমানা মেনে তিব্বতের মধ্যে পড়েছে দাবি করেই দখল করেছে চিন।
এইসব কারনেই নেপালের কৃষি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সরকারকে সতর্ক করে বলা হয়েছে চিনের আগ্রাসনের কারণে নেপালের আরো জমির চিনের মানচিত্রের মধ্যে চলে যেতে পারে।
তবে এক্ষেত্রে নেপাল সরকারের মনোভাব ঠিক কি তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ সম্প্রতি নেপাল সরকারের উদ্যোগে চিন সরকারের নেতৃত্বে একটি ওয়ার্কসপ আয়োজিত হয় সম্প্রতি। সেই ভার্চুয়াল ওয়ার্কসপের মূল বিষয় ছিল কিভাবে প্রশাসন আরো সুশৃংখলভাবে চালানো যায়। আর এরপরই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তাহলে কি এবার নেপাল প্রশাসনে সরাসরি বেজিং নাক গলাতে শুরু করলো? আর এটাই যদি হয় তাহলে নেপালের পথেও চিন আবার সমস্যা তৈরি করতে পারে ভারতের জন্য বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।