আমাদের ভারত, ১৯ জুলাই: লাদাখে চিনা সেনারা আগ্রাসনের মনোভাব দেখার পরই আর কোনো রকম ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি ভারতীয় নৌসেনা। এলএসিতে যেমন স্থলবাহিনী ও বায়ু সেনা সতর্ক রয়েছে তেমনই বঙ্গপোসাগর ও ভারত সাগরেও সতর্ক হয়েছে নৌবাহিনী। চিনা নৌবাহিনী যাতে কোনরকম সমস্যা তৈরি করতে না পারে তা নিশ্চিত করতেই তৎপর নৌসেনা। আর এই তৎপরতা দেখে বেশ কয়েকটি চিনা যুদ্ধ জাহাজ ফিরে গেল বলে জানা গেছে।
একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৫ জুন গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর নৌসেনার একাধিক যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন দেশের পূর্ব-পশ্চিম জলভাগে আগ্রাসী অবস্থান গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে বিমান পরিবহনে সক্ষম যুদ্ধজাহাজও রয়েছে। মালাক্কা প্রণালী এবং হর্ন অফ আফ্রিকা হয়ে চিনা নৌ-বাহিনীর জাহাজ যাতে কোনোভাবেই ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে না পড়ে তা নিশ্চিত করতেই চুড়ান্ত সর্তকতা অবলম্বন করেছে ভারতীয় নৌ-বাহিনী।
জলদস্যুদের রোখার অজুহাত দেখিয়ে চিনের যুদ্ধজাহাজ বালুচিস্তানের গদার বন্দর থেকে লোহিত সাগরের জিবৌটি নৌঘাঁটির মধ্যে ঘোরাফেরা করে। মালাক্কা প্রণালী হয় সেগুলি ভারত মহাসাগরেও ঢুকে পড়ে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ভারতীয় নৌ-বাহিনী এই আগ্রাসী অবস্থান নেওয়ার পরই চিনের প্রায় ৩টি যুদ্ধজাহাজ গার্ডেনে গল্ফ অফ এডেন থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে গেছে। পাশাপাশি মালাক্কা প্রণালী হয় তাদের ঘাঁটির দিকে ফিরে গেছে চিনের আরও তিনটি যুদ্ধজাহাজ।
নৌবাহিনীর এক কমান্ডারের কথা ইন্দোনেশিয়া হয়ে একটি চিনা যুদ্ধজাহাজ ভারত মহাসাগরে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু ভারতীয় নৌবাহিনী যে কোন পরিস্থিতির জন্য তৈরি বুঝে নিজের অভিমুখ ঘুরিয়ে নেয় চিনা যুদ্ধজাহাজটি।
শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইরান, মায়ানমার, পূর্ব আফ্রিকার একাধিক বন্দরে নিজেদের দখলদারি করছ উপস্থিতি তৈরি করেছে চিনা নৌবাহিনী। তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য ভারতীয় নৌবাহিনীকে চাপে রাখা। একই সাথে মার্কিন, ব্রিটিশ, ও ফরাসি নৌবাহিনীর ওপর নজর রাখতেও এই কৌশল নিয়েছে চিনের নৌ বাহিনী। তাই চিনের পাল্টা ভারতও নিজের জলসীমার মধ্যে থাকা ১০৬২টি দ্বীপে সামরিক পরিকাঠামো শক্তিশালী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
আন্দামান নিকোবর, লাক্ষাদ্বীপে নিজেদের পরিকাঠামো উন্নতির দিকে জোর দিয়েছে ভারত। আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগরের উপরে থাকা দ্বীপগুলিতে বিমান ঘাঁটি গড়ে তোলা হবে যাতে প্রয়োজনে সেখানে সহজেই যুদ্ধ বিমান ওঠানামা করতে পারে।