আমাদের ভারত, ২৮ জুন: সেনার পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে চিনা সেনা কথা দিয়েছিল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে পিছনে সরে যাবে উভয়পক্ষ। কিন্তু কথা দিয়েও কথা রাখেনি ড্রাগন বাহিনী। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার একেবারে কাছে ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে চিনা ফৌজ।এমনই ছবি ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে।
উপগ্রহ মারফত পাঠানো চিত্রে স্পষ্ট গালওয়ান উপত্যকায় বসে রয়েছে লালফৌজ। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে ৯ কিলোমিটারের মধ্যে এখনো কমপক্ষে ১৬ টি ক্যাম্প রয়েছে। অথচ ২২ জুন সেনার লেফটেন্যান্ট পর্যায়ের বৈঠকের দু’দেশই সেনা সরিয়ে নেওয়ার পক্ষে কথা বলেছিল।
দুপক্ষ কথা দিলেও কাজে তা করেনি যুদ্ধবাজ চিন। উপগ্রহ চিত্র থেকে আবারও তা স্পষ্ট হয়েছে। কিন্তু উপগ্রহ চিত্রে ভারতের কোন ঘাঁটি সেখানে চোখে পড়েনি। অর্থাৎ বৈঠকের পরই ভারত সেনা সরিয়ে নিলেও আগ্রাসী চিন সেই পথে এগোয়নি।
২৫ ও ২৬ জুনের উপগ্রহ চিত্র অনুযায়ী, চিনা সেনা এখন যেখানে অবস্থান করছে সেখান থেকে দৌলতবেগ ওলদি হাইওয়ের দূরত্ব ৬ কিলোমিটার। আর এই হাইওয়ে নির্মাণই চিন্তায় ফেলেছে চিনকে। কারণ এই হাইওয়ে নির্মাণ হলে ভারতীয় জওয়ানরা খুব সহজেই আকসাই চিনে নজরদারি চালাতে পারবে। একইসঙ্গে হাইওয়ের সাহায্যে সহজেই দৌলতবেগ বায়ু সেনা ঘাঁটির সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারবে।
তবে চিন যে কথা দিয়ে কথা রাখে না তা আগেই বুঝেছে ভারতীয় সামরিক বাহিনী। তাই ইতিমধ্যেই লাদাখ সীমান্তে বিপুল সামরিক সরঞ্জাম মজুদ করেছে ভারত। একের পর এক অত্যাধুনিক অস্ত্র উপত্যকায় ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে। T-90র মতো বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ট্যাংক পৌঁছেছে সেখানে। স্থাপন করা হয়েছে এয়ার ডিফেন্স মিসাইল। আর এর থেকেই ভারত স্পষ্ট করেছে,ভারত শান্তি চায়, কিন্তু ইট ছুড়লে পাটকেল দিয়ে জবাব দিতে পিছপা হবে না ভারত।